ঢাকার ২০টির মধ্যে আওয়ামী লীগ ঝুঁকিতে রয়েছে মাত্র একটি আসনে। ঢাকা-১৯-এ ডা. এনামুর রহমানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিজ দলেরই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌহিদ জং মুরাদ ও সাইফুল ইসলাম। অন্যদিকে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১৮ আসনে শেরীফা কাদেরকে নিতে হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরীর চ্যালেঞ্জ। বাকি ১৮টি আসনেই স্বস্তিতে নৌকার প্রার্থীরা।
ঢাকা-১ আসন নৌকা মার্কায় ভোট করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সেখানে আছেন জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামসহ আরও ৫ প্রার্থী।
এছাড়া ঢাকা-২ থেকে ১০ পর্যন্ত ৯ আসনে নৌকার প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করার মতো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। সেই বিবেচনায় কামরুল ইসলাম, নসরুল হামিদ বিপু, সানজিদা খানম, হারুনর রশীদ মুন্না, সাইদ খোকন, সুলায়মান সেলিম, আ ফ ম বাহাউদ্দিন, সাবের হোসেন চৌধুরী থেকে এখনও পর্যন্ত বড় কোনো চাপে নেই চিত্রনায়ক ফেরদৌসও।
সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন ঢাকা-১১-র ওয়াকিল উদ্দিনও। ঢাকা ১২ থেকে ১৭ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আস্থা রেখেছে হেভিওয়েট প্রার্থীদের ওপর। সেখানে ভোটের মাঠে আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাইনুল হোসেন খান নিখিল, শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ইলিয়াস মোল্লা ও মোহাম্মদ এ আরাফাত। তাদের চ্যালেঞ্জ করতে বিরোধী শিবিরে নেই তেমন নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক সমঝোতায় ঢাকা-১৮ থেকে নৌকার প্রার্থী সরে গেলেও স্বস্তিতে নেই জাতীয় পার্টির শেরীফা কাদের। তাঁর জন্য সেখানে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরী।
তবে নৌকার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ঢাকা-১৯। দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান দলের মনোনয়ন পেলেও ভোটের মাঠে ছাড় দেবেন না নিজ দলেরই দুই শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌহিদ জং মুরাদ ও সাইফুল ইসলাম।
উল্টোদিকে ঢাকা-২০ আসনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে না নৌকার প্রার্থী বেনজীর আহমদকে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :