আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য দেশের কোটি কোটি মানুষ মুখিয়ে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর এক গবেষণায় বলেছে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে। আমরা ভয় পাব কাকে। আমাদের জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে আরও সমৃদ্ধ, উজ্জ্বল ও আলোকিত করার জন্য লড়ে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের ডায়নামিক লিডার। ইনশাল্লাহ নির্বাচনে জয় আমাদের হবে। অসত্যের কাছে আমরা মাথা নত করব না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এ আগুন সন্ত্রাস জ্বালাও-পোড়াও বারে বারে আমরা দেখেছি। এসব ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস মোকাবিলা করেই আমাদের লাল-সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাব ইনশাল্লাহ। সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলটির প্রেসিডিয়াম ড. আবদুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দলের শীর্ষ নেতারা ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের অর্জন এবং আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়নে তাদের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয় ক্ষমতায় আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। এ বিষয়গুলোসহ দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে-
১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।
৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৭. নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।
৮. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।
৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।
১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :