আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার সব প্রার্থীকে পড়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে নেবেন এবং সেই অনুযায়ী ভোট চাইবেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ছয় জেলায় ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে, আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের ধারা অব্যাহত রাখুন যাতে দেশকে আরও এগিয়ে নেয়া যায়। দলের নির্বাচনী ইশতেহার সব প্রার্থী পড়ে নেবেন এবং সেই অনুযায়ী ভোট চাইবেন। অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আছে এবারের নির্বাচন নিয়ে। বিএনপি-জামায়াতের কাজই হলো মানুষ পোড়ানো আর নির্বাচন ধ্বংস করা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র রয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপি নির্বাচনবিরোধী কর্মকান্ড শুরু করে। এবারও তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই কেবল দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারবে। এবারের নির্বাচন নিয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে অনেক চক্রান্ত হচ্ছে। তাই নির্বাচনী পরিবেশটা যাতে সুন্দর থাকে, উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হয়; সেই দিকে সবাই খেয়াল রাখবেন। বিএনপি সন্ত্রাসী, জামায়াত যুদ্ধপরাধীদের দল। এরা নির্বাচনে না এলে সেই ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশবাসীর কাছে আহ্বান, আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করুন। যাতে আমরা দেশের মানুষকে আরও সুন্দর জীবন দিতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোটারদের অংশগ্রহণেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়ে যাবে। ওই সন্ত্রাসীদের দল ওরা তো নির্বাচনে বিশ্বাসই করে না। তাদের দ্বারা কোনো কল্যাণ হবে না দেশে। সেই জন্য উন্মুক্ত নির্বাচন করতে দিয়েছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন। জনগণ যাকে চাইবে, তাকেই মেনে নিবেন সবাই।’
এদিন পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর ও শেরপুর, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :