আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে নিরবে-নিঃশব্দে দেশে আইসিটি বিপ্লব হচ্ছে। এই বিপ্লবের স্থপতি হচ্ছেন জয়।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। সভার সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আজকে সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশে আসে, আবার চলে যায়। নিরবে আসে, নিঃশব্দে চলে যায়। কেউ টেরও পায় না। কিন্তু তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটা নিঃশব্দ বিপ্লব হচ্ছে, আইসিটি বিপ্লব। এই বিপ্লবের স্থপতি হচ্ছে জয়। তার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিরবে আবার চলে যাচ্ছে। কোনো সাড়া-শব্দ নেই। এই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পরিবার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পঁচাত্তরে যখন ফিরে যাই, জাতির পিতার রক্তাক্ত মরদেহ পড়েছিল ৩২ নম্বরের সিঁড়িতে, সেই মরদেহ দুই দিন পর আনা হয় টুঙ্গিপাড়ায়। ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড় ব্যবহৃত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর দাফনে। ১৮-১৯ জন লোককে জানাজা পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুকে দাফন দিয়ে তারা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে মানুষ ভুলে যাবে। তাদের হিসাবের অংক কত যে ভুল! আজ টুঙ্গিপাড়া বাঙালির তীর্থকেন্দ্র।
তিনি আরও বলেন, আজকে জাতির পিতার কাছে আমরা কী শিখবো? আমাদের রাজনীতিতে আমরা কীভাবে শিক্ষাগ্রহণ করব, আমাদের রাজনীতিতে কী যোগ্যতা প্রয়োজন আমরা সেটা কীভাবে শিখবো? আমি বলবো, এদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস, রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। একটি পরিবার ক্ষমতার ১৫ বছরে ক্ষমতার কোনো বিকল্প সেন্টার এই পরিবার করেনি। এদেশে হাওয়া ভবন নেই। এই পরিবারের সন্তানেরা মেধাবী। যে যেখানে আছে সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পরিবার সততার প্রতীক।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডবোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :