বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেছেন, শ্রমিকদের সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হচ্ছে শ্রমিকনেতাদের অনৈক্য। শ্রমিক সংগঠনগুলোর অনৈক্য দূর করতে হবে। শ্রমিক ঐক্যের পক্ষ থেকে অনৈক্য দূর করতে হবে। শ্রমিকদের অকল্যাণ হয় এমন কোনো কাজ না করার শপথ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আজ শ্রমিক ঐক্যের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় ও ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শ্রমিক ঐক্যের সভাপতি এ এ এম ফয়েজ হোসেন-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কবির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষিজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রব্বানী, জাতীয় শ্রমিক ফোরামের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী জামিল, বাংলাদেশ অটোরিক্সা হালকাযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম ফারুক, ন্যাশনাল ওয়াকার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জনি, নির্মাণ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ওসমান গণি, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পথিক, জাগো বাংলাদে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাহরাইনে সুলতান বাহার, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন শহীদ, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শ্রমিক মজলিসের নেতা মাওলানা নূর হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ রিক্সা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিব্বুল্লাহ, বাংলাদেশ দর্জি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মজিদ শিকদার, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসাইন, বাংলাদেশ দোকান কর্মচারী শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ প্রগতিশীল নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সহ-সভাপতি নূরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ আকাশ, বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সংযুক্ত গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি ফেরদৌসী বেগম, বাংলাদেশ প্রগতিশীল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার, ট্রাস্ট গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস এম বিল্লাল হোসেন, বাংলাদেশ টি এন্ড টি শ্রমিক কর্মচারী আদর্শ ফেডারেল ইউনিয়নের সাধারণ রহুল আমিন, জাতীয় চাতাল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক, বাংলাদেশ স্থল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বাদল, বাংলাদেশ ব্যক্তি মালিকানাধীন স্টীল ও রি-রোলিং মিলস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হাশেম, লোকাল গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মো. জুলহাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেন, এমন কোনো সংগঠনকে সমর্থন করা যাবে না যারা শ্রমিকদের অকল্যাণে কাজ করে। আমরা সমর্থন করবো যারা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে তাদের। যারা শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ চায়, শ্রমিকদের সমস্যা দূর করতে চায় তাদের সমর্থন করতে হবে। যারা শ্রমিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়, শ্রমিকদের কল্যাণের নামে ক্ষতি করতে চায় তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের পরিচয় শ্রমজীবী মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। এসব শ্রমিক সংগঠন ও নেতারা শ্রমিক আন্দোলনের নামে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ করছে। শ্রমিকদের শোষণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের একটি নৈতিক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। শ্রমিক ঐক্যের উদ্যোগে আগামী দিনে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এ এ এম ফয়েজ হোসেন বলেন, শ্রমিক ঐক্যের উদ্যোগে সত্যিকারের শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন করার পরিবেশ নেই। দেশে হাজার হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা গড়ে উঠেছে। কিন্তু সেই মোতাবেক ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আজকে বড়ো বড়ো শিল্প প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেওয়া হচ্ছে না। নানাবিধ শর্তের বেড়াজালে ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সরকারি হিসাবে দেশে ৭ কোটি ৩৩ লাখ শ্রমিক আছে। কিন্তু এতবৃহৎ গোষ্ঠী আজকে দেশে নিপীড়িত, নির্যাতিত। এত বিশাল জনগোষ্ঠী যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে তাহলে মেহনতি শ্রমিকদের উপর কথা বলার মত কেউ থাকতে পারবে না। সুতরাং আজকের দিনে শ্রমিকদের সামনে ঐক্য ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :