বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, পবিত্র মাহে রামাদ্বান মাস চলছে। এই মাস তাকওয়া অর্জনের মাস। তাকওয়া অর্জনের ঈমানদারকে এ মাসে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
তিনি আজ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী অঞ্চলের উদ্যোগে রামাদ্বানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের মহানগর সভাপতি আব্দুস সালাম-এর সভাপতিত্বে ও যাত্রাবাড়ী অঞ্চলের সভাপতি জোবায়ের আল মাহমুদ-এর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, কদমতলী থানার উপদেষ্টা মহিউদ্দীন, মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক তানভীর আহমেদ, ডেমরা অঞ্চল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, লোকাল গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোহাম্মদ জুলহাস প্রমুখ।
আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, রামাদ্বান মুমিনের জন্য রহমত বরকতের মাস। এ মাসে একজন মুমিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকটবর্তী হতে পারে। আল্লাহর রঙে রঙিন হওয়ার জন্য এ মাসের বিকল্প কিছু হতে পারে না। এ মাসে মানুষের জীবনের জীবন নির্দেশিকা তথা আল কুরআন নাজিল করা হয়েছে। কুরআনে মানুষের জীবনের সকল সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করেছে। কুরআনের আলোকে ব্যক্তি জীবন গঠনের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবন সাজাতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতিটি নিয়ম কানুন যদি কুরআনের আলোকে পরিচালিত হয় তাহলে সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার, অশান্তি, জুলুম শোষণের অবসান ঘটবে।
তিনি বলেন, সমাজ-রাষ্ট্রে সবচেয়ে জুলুমের শিকার শ্রমজীবী মানুষরা। প্রতিটি পদে পদে তারা নিগ্রহের শিকার হচ্ছে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও পরিশ্রমের আলোকে প্রাপ্য বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। একজন শ্রমিক দিনরাত পরিশ্রম করা সত্তে¡ও দুবেলা ঠিকমত খাবার খেতে পারছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে রামাদ্বানের এই পবিত্র দিনেও শ্রমজীবী মানুষ সেহরি-ইফতারে একটু ভালো খাবার গ্রহণ করতে পারছে না। শ্রমিকদের দুর্দিন ও দুর্দশা লাঘবের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্রের চেয়ারে বসা থাকা হর্তাকর্তারা ইফতারের খাবার নিয়ে টিটকারী করে। তারা নিজেরা পোলাও কোরমা খেলেও শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের কম খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তারা বিদেশি ফলমূল খেলেও শ্রমিকদের বড়ই দিয়ে ইফতার করতে বলে। তাদের এই নিন্দনীয় আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে শ্রমিকদের স্বার্থে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের দাম শ্রমজীবী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :