দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেছেন, শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে কেবল ইসলাম কথা বলেছে। অন্যরা শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের কথা এভাবে কেউ বলেনি। তাদেরকে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতের জন্য আইন-কানুন করতে হয়েছে।
তিনি আজ রাজধানী একটি রেস্টুরেন্টে দ্বি-মাসিক শ্রমিক বার্তার উদ্যোগে কবি, সাহিত্যিক ও লেখকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে ও সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন লেখক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, আব্দুদ্দাইয়ান মুহাম্মদ ইউনুছ, আবদুল জব্বার, নয়া দিগন্তের সহকারী সম্পাদক (বার্তা) মাসুমুর রহমান খলিলী, গোলাম রব্বানী, আলী আহমদ মাবরুর, আবুল কালাম আযাদ, ইসমাইল আহসান ও খান গোলাম রসুল প্রমুখ।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসাইন, সম্পাদনা সহযোগী নুরুল আমিন, হাফিজুর রহমান, সোহেল রানা মিঠু, জামিল মাহমুদ ও সার্কুলেশন ম্যানেজার আশরাফুল আলম ইকবাল।
আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাইরের শক্তি তাদের ক্ষতি করতে পারবে না। মুসলমানরা কুরআন-হাদিস অনুযায়ী পথ চললে তাদের কেউ বিভক্ত করতে পারবে না।
সভাপতির বক্তব্যে আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন, শ্রমজীবী মানুষের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে কেউ কথা বলে না। তাদের দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত জীবনের কথা সমাজ-রাষ্ট্রকে জানান দেওয়ার জন্য লেখকদের এগিয়ে আসতে হবে। কলম সৈনিকরা যদি শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে কথা বলে তাহলে সমাজের চোখ শ্রমজীবী মানুষের ওপর পড়বে। তাই আমরা অনুরোধ করবো আপনারা শ্রমজীবী মানুষের জীবন পর্যবেক্ষণ করুন। দেখুন তারা কীভাবে জীবন অতিবাহিত করে।
আপনারা যদি শ্রমিকদের পক্ষে আওয়াজ তুলতে পারেন তাহলে এদেশে শ্রমিকদের ওপর চলা জুলুম-নির্যাতনের অবসান হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :