২০১৮ সালে কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের একজনও বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের সূর্য সন্তান। তাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য-তাদের প্রতি এত অ্যালার্জি কেন?
১৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সরকারি চাকরিতে `কোটা` ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা সংগ্রহ, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংবলিত লিফলেট বিতরণ, উন্মুক্ত আলাপন, যৌক্তিক উপায় গ্রহণ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করার জন্য `পলিসি অ্যাডভোকেসি` ও `ডোর টু ডোর` ক্যাম্পেইন শীর্ষক মিট দ্য প্রেসে তিনি একথা বলেন।
সাদ্দাম বলেন, যারা আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ঘরে ফিরেছে তাদের ধন্যবাদ জানাই। প্রফেশনাল আন্দোলনকারীরা এখনও রাজপথে আছে। তারা ব্লকেড ব্লকেড খেলা খেলছে। ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল রাখার পরও তারা আন্দোলন করছে। ক্ষণে ক্ষণে কথা পাল্টাচ্ছে। দাবি পাল্টাচ্ছে। তারা কি চাকরিজীবী হতে চায় নাকি আন্দোলনজীবী হতে চায়? সেটা জানতে হবে।
এটা (কোটা সংস্কার) স্পট ডিসিশনের কোনো ব্যাপার না। এর একটা নিয়ম আছে। আজ যারা নিজেদের মেধাবী দাবি করছে তারা কি বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ সম্পর্কে জানে?
কোটার বিষয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে সাদ্দাম বলেন, নারীদের সামনে আনতে তাদের কোনো কথা নেই। ২০১৮ এর পর কোটা না থাকায় নারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। কমেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সংখ্যাও। বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ চাকরিই পায়নি। তাছাড়া ২০১৮ সালে আন্দোলনকারীদের একজনও বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অবজ্ঞা করে কোনো কিছু করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাদের এত এলার্জি- এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের কাঁধে ভর করে একটি কুচক্রি মহল দেশের উন্নয়ন বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করছে- অভিযোগ করে ইনান বলেন,
এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাকে বিঘ্ন ঘটানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। কোটা আন্দোলনের নাম নিয়ে যদি কেউ শান্ত পরিবেশকে অশান্ত কার চেষ্টা করে তার পরিণতি ভালো হবে না।
তিনি বলেন, নারী কোটা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট শ্নেণি আস্ফালন করতে চাইছে। নারী কোটার সুবিধা সব নারীদের জন্যই প্রযোজ্য। জেলা কোটার সুবিধা কি নির্দিষ্টি জেলার মানুষ সুবিধা পাবেন? না, যে সব জেলা পিছিয়ে আছে তাদের এগিয়ে আনার জন্যই এই জেলা কোটা।
একুশে সংবাদ/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :