আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার বা নির্যাতন করেনি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সরাসরি জড়িত ছিল, শুধু তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উসকানি দেয়া হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এ সব সন্ত্রাসী ঘটনার মদদদাতা, অর্থের জোগানদাতাদের চিহ্নিত করেছে এবং তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এবং এই দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
‘যে কোনো আন্দোলন দেখলেই বিএনপি সেখানে অনুপ্রবেশ করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে উন্মত্ত হয়ে ওঠে’ দাবি করে তিনি বলেন,
বারবার তারা (বিএনপি) জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে; যেটা তাদের এখন একমাত্র কৌশল। যে কোনো আন্দোলন দেখলেই তারা সেখানে অনুপ্রবেশ করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে উন্মত্ত হয়ে ওঠে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাঁধে বন্দুক রেখে বর্তমান সরকারকে নিশানা করেছে। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে এবং সরকার তাদের সব দাবি পূরণ করেছে। অথচ মির্জা ফখরুল এখন সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন। সরকারের পদত্যাগের দাবি শুধুমাত্র সরকারবিরোধী বা দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতের।’
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তন কেবল জনরায়ের মাধ্যমেই সম্ভব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার জনগণের রায় নিয়ে সাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনার করছে। সব উসকানি ও নৈরাজ্যের মুখেও সরকার সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শন করেছে এবং জনগণকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দেয়ার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কাদের বলেন, ‘সাইবার সন্ত্রাসীরা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য ও ভূয়া ছবি পাঠিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা মেট্রোরেল, বিটিভিসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সুপরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা ইতিহাসের ন্যক্কারজনক ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। জনগণের শান্তি, শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রদর্শন করবে।’
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এই সন্ত্রাস-সহিংসতায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলনে নিহতদের তালিকা প্রকাশ হয়নি মর্মে মন্তব্য করেছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাস-সহিংসতা ও নাশকতায় নিহতের সংখ্যা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই ফখরুল ইসলাম এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মির্জা ফখরুল ও বিএনপি-জামায়াত যে কোনো প্রকারে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :