বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সামনে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কিছু মতলববাজ দুষ্কৃতিকারী সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে সামনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় পূজা আসছে সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। পূজায় আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। গত ৫ আগস্টের পর আমরা যে দায়িত্ব পালন করেছিলাম সে দায়িত্ব আবারও পালন করা লাগতে পারে সে ব্যাপারে আপনারা সতর্ক থাকবেন।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালের গিকে ফরিদপুর শহরতলীর মুন্সী বাজার বাইপাস সড়ক এলাকায় যাত্রা বিরতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ঘাতকদের হাতে কুষ্টিয়ায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘শহীদ পরিবারের ক্ষতি যেন আল্লাহ পুষিয়ে দেন। আল্লাহ যেন তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করেন।
মাবুদের দরবারে শুকরিয়া সাড়ে ১৭ বছর যে যন্ত্রণা জাতির বুকের মধ্যে চেপে ছিল তিনি তা দূর করে দিয়েছেন। আকাশে এখনও কালো মেঘ আছে আল্লাহ যেন তা সরিয়ে দেন। আকাশ যেন দিনের আলোয় ফর্সা হয়ে বাংলাদেশ ঝলমল হয়ে উঠে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় পূজা আসছে সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি।
পূজায় আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। যাতে কোনো মতলববাজ আমাদের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করতে না পারে। উলামা এবং ইসলামীদলগুলো অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যারা মাইনরিটি মাইনরিটি বলে মানুষের ঘারে চেপে মুসলমানদের বেইজ্জত করতে চায় তারা বসে নেই কিন্তু এদের ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’ এ দুষ্কৃতিকারীরা যেন ফাঁকে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে শৃঙ্খলা নষ্ট করতে না পারে সে জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষদের সাথে নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ফরিদপুর যাত্রাবিরতি পথসভায় ফরিদপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বদরুদ্দিন, নায়েবে আমির ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহাব, পৌর আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম ও পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি ইব্রাহিম মুনতাজির তাকিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :