অন্তর্বর্তী সরকারকে ভোটের জন্য বছরের পর বছর সময় দেবে না জামায়াত। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, শিগগিরই নির্বাচনি রোডম্যাপের জন্য যৌক্তিক সময় নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরা হবে। গনমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জামায়াত আমির আরও জানান, বৃহত্তর স্বার্থে কোনো দলের সাথে জোট করতেই আপত্তি নেই।
গত ১৫ বছর ছিল বিপর্যয়ের কাল। তবে এবার পুনরুত্থানের পথে জামায়াতে ইসলামী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা।অন্তর্বর্তী সরকারের নানা উদ্যোগের প্রশংসা করলেও, নির্বাচনের জন্য খুব বেশি সময় দিতে রাজি নন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘যে সংস্কারগুলো করলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে সে সংস্কার করার জন্য যেটুকু সময় দরকার, ন্যূনতম সময় তাদের নেওয়া উচিত। এর বাহিরে নয়। কারণ বলেছি, বছরের পর বছর নয়। যৌক্তিক সময় বলতে, আপনারা পেয়ে যাবেন। আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য পেয়ে যাবেন, বেশি অপেক্ষা করতে হবে না।’
আগামী নির্বাচন একক না জোটবদ্ধভাবে জানতে চাইলে তিনি জানান, সময়-উপযোগী সিদ্ধান্তই নেবে জামায়াত।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের স্বার্থে যে কারও সাথে জোট হতে পারে। দেশের স্বার্থকেই আমরা বড় করে দেখব। কাদের সাথে জোট গঠন করাটা দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষা হবে, সম্মানজনক হবে এটা আমরা বিবেচনায় নেব। একদিকে জাতির কিছু সংস্কারের প্রশ্ন, আরেক দিকে প্রতিদিন কিছু না কিছু ষড়যন্ত্রের আভাস। এই দুটোকে মাথায় নিয়েই দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামীর পরিকল্পনা নিতে হবে। আমরা এখন রাজনীতিটাকে নিয়েছি বিপন্ন জনগণের পাশে থাকার জন্য। বিশাল ক্ষতি হয়ে গেছে।’
দেশের পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারে থাকা কেউ রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করলে তা অযৌক্তিক হবে বলেও মন্তব্য করেন জামায়াত আমির।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দল নিরপেক্ষ এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা আছেন তারাই যদি আবার রাজনীতি করার জন্য মাঠে নামেন, দল গঠন করতে মাঠে নামেন, তাহলে তো তারা নিরপেক্ষ থাকবেন না। তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হবে। এটাই স্বাভাবিক। এটা তো আমরা চাই না। তাদের যদি দল করতেই হয় তাহলে এখান থেকে বিদায় নেওয়া তাদের জন্য উত্তম এবং সম্মানজনক।’
জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দল নিশ্চিহ্নে শেখ হাসিনা সরকার যা করেছে তা নজিরবিহীন বলেও জানান ডা. শফিকুর রহমান।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :