AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন, হালকাভাবে নেয়া যাবে না: জামায়াত


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪:৪৭ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪
সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন, হালকাভাবে নেয়া যাবে না: জামায়াত

গোপালগঞ্জের পর ঢাকার কচুক্ষেতে সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ও পুলিশের একটি লেগুনায় আগুন দিয়েছে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকরা। এতে কচুক্ষেত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় ওই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এছাড়া পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় আল আমিন ও রুমা বেগম নামে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের যদি কোনো ন্যায্য দাবি-দাওয়া থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমাধান করবেন এটাই তাদের কর্তব্য। কিন্তু বিক্ষোভকালে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এটা যদি বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে হয়ে থাকে, দেশ এবং অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করার কোনো ছক থেকে থাকে তাহলে বিষয়টি হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

এর আগে, পোশাক শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে মিরপুর-১৪ নম্বর কচুক্ষেত সড়কে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের শান্ত করতে এলে প্রথমে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। আত্মরক্ষায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকরা। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই আমরা রাস্তায় ছিলাম। তবে শ্রমিকরা হঠাৎ করে তাদের আন্দোলন থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, কচুক্ষেতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন লাগার খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে আমাদের দুটি ইউনিট দিয়ে গাড়ি দুটির আগুন নেভায়।

 

একুশে সংবাদ/স স/বিএইচ

Link copied!