১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির কথা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপির সব কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে, কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। ১৪ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দুপুর ২টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হবে। ১৬ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বিএনপির সব কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ভোরে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হবে। জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দুপুর ২টায় আলোচনা সভা হবে। বিকেলে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সর্বস্তরের মানুষ উপভোগ করতে পারবেন।’ ’
একাত্তরে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর যে সরকার গঠিত হয়েছিল তারা এই দেশের লোক হয়েও মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেয় দাবি করে রিজভী বলেন, ‘বিরোধী দল মতকে স্তব্ধ করে তৈরি করা হয় বাকশাল। তৈরি হয় অবরুদ্ধ বাংলাদেশ।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর সেখান থেকে দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যান জিয়াউর রহমান। ৮১ সালে তাকে হত্যার পর আবারও দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। সেই পুরোনো বাকশাল শেখ হাসিনা নতুনভাবে দেশে আবার কায়েম করেছিলেন।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে বার বার ভাঙার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে সেই ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রিজভী।
অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার শেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :