সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ নয়, ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি। তবে, সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দেয়ার পক্ষে জামায়াত। আর উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলছেন, শুধু একটি নির্বাচনের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়নি, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের দিকে যাবে সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার মাস দুয়েক পর থেকেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ইস্যুতে বক্তব্য আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতারা দাবি করেন, সরকার মুখে সংস্কারের কথা বললেও দৃশ্যমান কোনো সংস্কার দেখা যাচ্ছে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘দৃশ্যমানভাবে সরকারের তরফ থেকে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ আমরা দেখতে পাইনি। বরং আমরা দেখতে পেয়েছি, সংস্কারের কথা বলে সংস্কারের পাশ কাটিয়ে শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করে তারা বিচারক নিয়োগ করছেন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থাকলেই দেশ এগিয়ে যাবে, পাশ্ববর্তী দেশের ভাইয়েরা সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে যে সকল মিথ্যা প্রচারণা, প্রোপাগন্ডা ছড়াচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই।’
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভায় জামাতের আমির বলেন, সংস্কারের জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময় দেয়ার পক্ষে জামায়াত। যৌক্তিক সময় ৫ বছর নয়, আবার ৩ মাসও নয়। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এখন যারা দায়িত্বে আছেন দেশের, তাদেরকে ক্ষমতাবান বলা যাবে না, তারা অল্পকিছু দিন আছে। একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে জন আকাঙ্খার প্রতিফলন তাদের মধ্যে দিয়ে জনগণ দেখতে চায়।’
এদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, শুধু একটি নির্বাচনের জন্য প্রাণ দেয়নি ছাত্র-জনতা। আওয়ামী লীগের ধ্বংস করে যাওয়া সব প্রতিষ্ঠানের সংস্কার শেষেই নির্বাচনের দিকে এগোবে অন্তর্বর্তী সরকার।
স্থানীয় সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘শুধু একটা নির্বাচন কিংবা ভোটের জন্য এতগুলো মানুষ জীবন দেয়নি। আমরা ধারণা করছি, দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। শহীদ পরিবার এবং আহতেরাও সংস্কারের কথা বলছেন। তাই আমরা মনে করছি সংস্কার জরুরি।’
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর নতুন লক্ষ্য-ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :