বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়েই দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। আজ মঙ্গলবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজন করা প্রয়োজন নেই। স্থানীয় নির্বাচনের কারণে জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি বিলম্বিত হতে পারে বলে বিএনপি মনে করে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে। সেই লক্ষ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর ফলে জনদুর্ভোগ বাড়বে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব। জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ বছরের মাঝামাঝিতে করা সম্ভব উল্লেখ করে দ্রুত নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা মনে করি, নির্বাচন এত বিলম্বিত করার কোনো কারণ নেই। যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে গেছে এবং গভর্নেন্সের মধ্যে একটা স্ট্যাবিলিটি এসেছে। এ মাসের মধ্যেই সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট এসে যাবে। সুতরাং আমাদের মনে হয় না এটা আরও বিলম্বিত করার কোনো প্রয়োজন আছে।’
আসলে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি, এই বছরেই মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। এ কারণেই আমরা সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই সময়েই যেন নির্বাচনের জন্য আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।’
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের। এর পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার।
এরই মধ্যে নানা পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের দাবি উঠেছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে হবে নির্বাচন। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সংস্কার না চাইলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে।
একুশে সংবাদ/ই.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :