অন্তর্বর্তী সরকার বেশকিছু ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, যদি এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে নির্বাচনের সময় একটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আসাদের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি বিষয়ে সবাই একমত যে দেশে নির্বাচন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন শুধু একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়; এটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি পথ তৈরি করে। নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি একটি নতুন সম্ভাবনার দরজা পার হওয়ার সুযোগ পায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে প্রশ্ন রয়েছে সব সংস্কারগুলো করে নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে, তাহলে কী আমরা ৪-৫ বছর ধরে অপেক্ষা করবো বা যতদিন সংস্কারগুলো শেষ না হয়, ততদিন জনগণ অপেক্ষা করবে? তারা তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে?
অনেক বছর মানুষ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। নির্বাচন দ্রুত না হলে জনগণের চাহিদা পূরণ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে যে ব্যবস্থা ছিল সেই ব্যবস্থাতেই সচিবালয় থেকে শুরু করে সবখানে সেভাবেই চলছে। স্কুল-কলেজে সেরকম লেখাপড়া হচ্ছে না। প্রায় ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো। এ সময় পরিবর্তন এত অল্প সময়ে সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বেশকিছু বিষয়ে নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকলে নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন হতে পারে। এ জন্য আমরা বলেছি, দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার। দ্রুত নির্বাচন হলে যে দল ক্ষমতায় আসবে, যে কমিটমেন্টগুলো (প্রতিশ্রুতি) থাকবে, তারা সেগুলো পালন করার চেষ্টা করবে। এ ক্ষেত্রে তারা অবশ্যই দায়বদ্ধ থাকবে। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করবে এবং দেশের সংকটকালে এই সংকট উত্তরণে তারা কাজ করবেন।
একুশে সংবাদ/চ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :