বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতন্ত্র, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এসব অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে এবং একদলীয় সরকার ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করে। এই পদক্ষেপে তারা বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে এবং একপ্রকার গায়ের জোরে, জাতীয় সংসদে অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাস করেছিল।
তিনি বলেন, ওই সময় সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত চারটি পত্রিকা চালু রাখার ফরমান জারি করে। দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুণ্ঠিত করে সমাজে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের ঘন অমানিশা ছড়িয়ে দেয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এক দলীয় বর্বর শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে শুধু গণতন্ত্রই নয়-দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে তারা সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি। বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা কখনই সভ্য রীতিনীতি অনুসরণ করেনি। তখন কারাগারই ছিল বিরোধী দলের ঠিকানা।
তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার মিলিত দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এখন যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে গণতন্ত্র, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জনগণকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :