ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় দেড় লক্ষ বাংলাদেশীর বসবাস।
ইমিগ্রেশনের স্বর্গরাজ্য নামে পরিচিত এই দেশটিতে শুধু বসবাসই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের পদচারণা বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় ফ্রান্সে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করেন দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশীরা, বিশেষ করে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে নানা সময়ে নানানভাবে দাবি উত্থাপন করা হলেও, গত সোমবার (২৩ অক্টোবর) ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার : বাংলাদেশ-ফ্রান্স ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ এ বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট কেনো ইউরোপে বা ফ্রান্সে পরিচালনা করা উচিত তার উপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেন ফ্রান্সে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের নেতা শাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান সাত্তার আলী সুমন (শাহ আলম)।
এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এবং বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সাথে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।
সাত্তার আলী সুমন সবিস্তারের আলোচনা করে বলেন, ফ্রান্স থেকে প্রতিদিন গড়ে আটটি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করে। সেক্ষেত্রে প্রতটি ফ্লাইটে যদি গড়ে ৫০ জন করেও বাংলাদেশি যায়, তাহলে মোট অন্তত ৪ শত জন বাংলাদেশী প্রতিদিন বাংলাদেশে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রতিদিন কয়েকশত টন সবজি ও অন্যান্য দ্রব্যাদি বাংলাদেশ হতে আসে।
তাই তিনি বলেন, সপ্তাহে যদি অন্তত ১ টি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটও যদি পরিচালনা করা যায়, তবে তা ফ্রান্সের সাথে বংলাদেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যের আরো সম্প্রসারণ ঘটাবে।
এসময় মাননীয় সচিব তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমানের পরিকল্পনা আছে এবং খুব দ্রুতই তারা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বহু বছর পূর্বে শেষবারের মত ফ্রাংকফুর্টে সবাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট এসেছিলো। সে সময় ইউরোপে বাংলাদেশীদের অবস্থান এবং বর্তমান সময়ে ইউরোপে বাংলাদেশিদের অবস্থানের মধ্যে এক বিশাল পার্থক্য আছে। কারণ, এ সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশীরা ইউরোপের মাটিতে নিজেদেরকে আগের চাইতে অনেক বেশি শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে।
বিশেষ করে, ফ্রান্স সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেক এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশিরা। ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ফলে কার্গো বিমানের সহায়তা অথবা কার্গো ব্যবসার বিশেষ চাহিদা দেখা দিয়েছে। তাই বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট সহ কার্গো বিমানের ফ্লাইট চালু এখন সময়ের দাবি।
একুশে সংবাদ/আ.ত.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :