দক্ষিণ আফ্রিকায় নয়টি প্রদেশে যথাযথ মর্যাদায় প্রবাসি বাংলাদেশিরা ঈদুল আজহা উর্যাপন করেন।সামর্থ অনুযায়ী বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয় স্বজন, ব্যবসায়ী পার্টনার মিলে পশু কোরবানি করে থাকেন প্রবাসীরা।
দেশেটির প্রতিটি শহর-গ্রামে ছোট বড় অসংখ্য খামারের মধ্যে কিছু সংখ্যক প্রবাসি বাংলাদেশিদের খামার রয়েছে। এসব খামারে নানা জাতের গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ লালন পালন করা হয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে এ সকল খামার থেকেই পশু কিনে থাকেন বাংলাদেশি, ভারত, পাকিস্তানি সহ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
দেশটিতে পশুর দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় এখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুশি মনে কোরবানি করে থাকেন।
আই এফ এ কমিউনিটি নেতা শাহাদাত হোসেন জানান, এ বছর গরুর বাজার আগের বছরের তুলনায় অনেক কম। জোহানিজবার্গের স্পিরিং থেকে বড় এক গরু ক্রয় করেছি মাত্র চব্বিশ হাজার রেন্ড দিয়ে। যা বাংলাদেশে কিনতে ৩লক্ষ টাকা দাম হবে। আমার প্রতিবেশী, সহপাঠী বন্ধুদের মিলে ১৭ টি গরু কোরবানির জন্য ক্রয় করি।
জোহানসবার্গের লানেসিয়ার স্থানীয় বাংলাদেশি জাকের হোসেন পারভেজ জানান, প্রবাসে প্রতিবছর কোরবানি দিয়ে থাকি। এবছর ও গরু জবাই করে কোরবানি দিবো। এখানে যে গরু ২২ হাজার রেন্ড দিয়ে ক্রয় করেছি। বাংলার প্রায় ১ লাখ ৪০হাজার টাকা। আর দেশে এই গরু কিনতে হলে প্রায় ২লাখেরও বেশি টাকা লাগবে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজাদ হোসন জানান, আমি এবছর ছাগল দিয়ে কোরবানি করেছি। ৩হাজার রেন্ড দিয়ে ক্রয় করেছি। বাংলার প্রায় ২০হাজার পাঁচশত টাকা। আর দেশে এই ছাগল কিনতে হলে প্রায় ৪০হাজার টাকা লাগবে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহেদ মাহমুদ জানান, প্রতি বছরের মত এবারও ভেড়া কিনেছি, কোরবানি দিবো ইনশাআল্লাহ। ২ হাজার রেন্ড দিয়ে কিনেছি। বাংলার প্রায় ১৩ হাজার টাকা। আর দেশে এই ভেড়া কিনতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাগবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি মালিকানাধীন খামারগুলোতে সুন্দর সুন্দর গরু, ছাগল, ভেড়া বিক্রি করে বাংলাদেশিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন। ঠিক তেমনি তুলনামূলক সাশ্রয়ী দাম হওয়ায় ক্রেতারাও খুশি হচ্ছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :