মালদ্বীপ প্রবাসীদের মৃত্যু মিছিল যেন দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে আর এর বেশীভাগই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।একদিনের ব্যবধানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দুই বাংলাদেশি মো. খসরু আহমেদ (৫৩) ও মো. ইয়াছিন মিয়া (২২) মারা গেছেন।বুধবার (১১, ডিসেম্বর) দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের কল্যাণ সহকারী মো. জসিম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ মিশনের এই কর্মকর্তা দবলেন, মৃত দুই প্রবাসী রাজধানী মালের পার্শ্ববর্তী আইল্যান্ডে কাজ করতেন।খসরু আহমেদ বৈধভাবে কাজ করলেও ইয়াছিন মিয়া অবৈধভাবে কর্মরত ছিলেন।যিনি বৈধ ছিলেন তার সম্পুর্ন খরচ মালিক বহন করলেও অবৈধভাবে কর্মরত মৃত প্রবাসী ইয়াছিন মিয়ার লাশ পাঠানো হয়েছে এখানকার ইন্সুইরেন্স কোম্পানী ও দূতাবাসের সহযোগিতায়।আগামীকাল শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দুপুর ১১টায় বাংলাদেশে পৌছালে মরহুমের মরদেহ তাদের স্বজনরা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।
মরহুম ইয়াছিনের নিকট আত্মীয় মজিবুর রহমান মুঠো ফোনে বলেন,পরিবারের হাল ধরতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মালদ্বীপে পাড়িজমিয়েছেন ইয়াছিন।তাঁর বেতন দিয়েই চলত তাদের সংসার।ইয়াছিনের মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।ইয়াছিনের দেশের বাড়ি কুমিলা জেলার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় গোপাল নগরে।
নিহত আরেক প্রবাসী খসরু আহমেদের বড় ছেলে মো. আবু তাহের মুঠো ফোনে বলেন,তার বাবা সংসারের অভাব ঘোচাতে ১০ বছর আগে মালদ্বীপে পাড়ি জমিয়েছেন।আসছে রমজানে দেশে ফিরবেন এই জন্য নিজ কোম্পানি থেকে ছুটিও নিয়েছেন তিনি।কিন্তু এখন বাবা ফিরবে লাশ হয়ে।একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশাহারা এখন তাদের পরিবার বলেও জানান তিনি।খসরু আহমেদের দেশের বাড়ি সিলেট জেলার, জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নে।
মরহুম খসরু আহমেদের নিকট আত্মীয় ও মালদ্বীপের সিলেট প্রবাসী সংগঠনের সভাপতি আবদুল আল মামুন বলেন,খসরু আহমেদ মালদ্বীপের ধিগুরা আইল্যান্ডে কৃষিকাজ করতেন।স্টোক করে গত একসপ্তাহ যাবত চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।তবে তার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর সম্পুর্ন খরচ মালিক বহন করেছেন এবং পরবর্তীতে তিনি একমাসের বেতন বা বাংলা ৬০ হাজার টাকা দিবে বলে আস্বস্ত করেন।
এছাড়াও `ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, থেকে তিন লাখ টাকা পাবেন বলে জানান তিনি।এজন্য মরহুমের মালিক এবং বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :