পর্যটন নগরীর দেশ মালদ্বীপ।বিশ্ববাসীর কাছে দেশটির কর্মসংস্থান, ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি নিয়ে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।বর্তমানে বহু দেশের মানুষ এসে দেশটিতে বসবাসও করছে।এর কারণ মালদ্বীপের নীল জলরাশীর অপরুপ সৌন্দর্য আর আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ, যেকেউই খাপ খাইয়ে নিতে পারেন।দেশটিতে ছাত্র, শিক্ষক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় লাখের অধিক বাংলাদেশি বসবাস করেন।
আর আধুনিক মালদ্বীপ গড়ার পেছনে বাংলাদেশিদের অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে।বাংলাদেশিদের এই অবদান দেশটির সরকার ও সাধারণ মানুষও স্বীকার করেন।প্রবাসী বাংলাদেশিরা কঠোর পরিশ্রম, সততা আর দক্ষতায় দিয়ে মালদ্বীভিয়ানদের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।এসব কারণেই বহু বাংলাদেশিকে বিয়ে করে এখন সুখী জীবন যাপন করছেন অনেক মালদ্বীভিয়ান নারী।
এমনই একজন মালদ্বীভিয়ান নারী লাইলা আবদুল্লাহর সাথে বাংলাদেশি বাবুল হোসেনের বিয়ে হয়েছে ১৬ বছর আগে।এরই মাঝে তাদের দাম্পত্য জীবন কেটেছে অনেকগুলো বছর।হয়েছে তাদের ঘরে দুটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান।তাদের এই দাম্পত্য জীবনকে আরও মধুময় করে তুলতে বাংলা বধুর ৩৮তম জন্মদিন ব্যতিক্রমী ভাবে উদযাপন করেন তারই জীবনসঙ্গী বাংলাদেশি বাবুল হোসেন।তার জন্মদিনের এই বিশেষ আয়োজনে স্থানীয় পরিচিতজন থেকে শুরু করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন বাংলার বধু লাইলা আবদুল্লাহ।
এদিকে জন্মদিনের এমন ব্যতিক্রমী সারপ্রাইজে উচ্ছ্বসিত হয়ে বাংলার রাঙা বধু লাইলা আবদুল্লাহ বলেন, সবাই আমাকে শুভেচ্ছা ও অভিন্দন জানাচ্ছে।এটা অবশ্যই বরাবরই হয়।তবে এবার আমার জীবনসঙ্গীর অন্যরকম উপহার পেয়ে বাড়তি ভালোলাগা কাজ করছে।সবমিলিয়ে খুব ভালো সময় কাটছে।আমি ধন্য এমন একজনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে।এটাই আমার জন্মদিনের সেরা উপহার।তবে পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে আজকের বাকীটা সময় কাটাবো বলেও জানান তিনি।
প্রিয়জনকে জন্মদিনে সারপ্রাইজ দেওয়ার অনুভূতিটাই যেন ভিন্ন বলে জানান প্রবাসী বাংলাদেশি বাবুল হোসেন।তিনি বলেন, যাকে চমকে দিতে এই আয়োজন সে যদি সত্যিই চমকে যায় তাহলেতো আয়োজনটা নিশ্চই সার্থক।প্রবাসী বাংলাদেশি এই বাবুল হোসেন মালদ্বীপের একজন সফল ব্যবসায়ী ও প্রবাস বান্ধব।একইসাথে তিনি কর্ণধার ঢাকা ট্রেডার্সেও।শৈশব থেকে স্বপ্নবাজ দুরন্ত এই লোকটির স্বপ্নের প্রতিটি কাজ মালদ্বীপে এসে পূর্ণ করেন।নিজের একনিষ্ঠতা আর যোগ্যতা দিয়ে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।বাংলাদেশ থেকে অনেক যুবক মালদ্বীপে এসে তার এই সব প্রতিষ্ঠানে কর্ম করে উপার্জন করছেন বৈদেশিক মুদ্রা।এর মাধ্যমে বাংলাদেশে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্সও।
শুক্রবার (২০, ডিসেম্বর) বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় আয়োজিত এই জন্মদিন অনুষ্ঠানে স্থানীয় নাগরিকদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন বিএনপি মালদ্বীপ শাখার সভাপতি মো. খলিলুর রহমান, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডক্টর মুক্তার আলী লস্কর, দেশটির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর জেবা উন নাহার, বিএনপি মালদ্বীপ শাখার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী শাহ্ আলামসহ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সামাজিক সংগঠনের নেতা ও উদ্যোক্তারা।
এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিথিদের কেউ হাতে কেক, কেউবা নিয়ে এলেন চকলেট-ক্যান্ডল আবার কারও হাতে সুদৃশ্য পেপারে মোড়ানো উপহার।সব মিলিয়ে রাজধানীর তান্দুরি ফ্লেমস ফুডস সেন্টার যেনো মালদ্বীপ-বাংলার মিলন মেলায় জমে উঠলো কিছুক্ষণের জন্য।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :