এশার নামাজ আদায়ের পরপর বিতর নামাজ আদায়ের সময় শুরু হয়। আর ওয়াক্ত শেষ হয় সুবহে সাদিকের উদয়ের মাধ্যমে। অর্থাৎ ফজরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হলে বিতরের ওয়াক্ত আর থাকে না। (ড. ওয়াহবা আজ-জুহাইলি, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ৬৬৯)
কারো শেষ রাতে জাগ্রত হওয়ার নিশ্চয়তা থাকলে তাহাজ্জুদের সময় বিতির পড়া উত্তম। তবে শেষ রাতে জেগে বিতর পড়তে না পারার আশঙ্কা থাকলে, শুরুর রাতে পড়ে নেওয়া জরুরি। না হয়, শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পরে এরপর বিতর আদায় করে নেওয়া উত্তম।
তবে রমজানের যেহেতু তারাবি শেষে বিতির পড়া হয়, তাই বিতিরের উত্তম সময় নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে। যেমন একজন জানতে চেয়েছেন-
‘আমার বাবা নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়েন এবং বিতির নামায সবসময় তাহাজ্জুদের পরেই আদায় করেন। রমজান মাসে তার জন্য কোনটি উত্তম? তাহাজ্জুদের পর বিতির পড়া, নাকি মসজিদে তারাবীর পর জামাতের সাথে বিতির আদায় করা? সঠিক মাসআলাটি জানালে উপকৃত হব।
এর উত্তরে আলেমরা বলেন, রমজান মাসে বিতির নামাজা একাকী শেষ রাতে আাদায় করার চেয়ে তারাবীর পর জামাতের সাথে আদায় করা উত্তম। আর অন্য মাসে কেউ যদি শেষ রাতে ওঠার ব্যাপারে নিজের প্রতি আস্থাশীল হয় তাহলে তার জন্য শেষ রাতে পড়াই উত্তম। তাই আপনার বাবা অন্য মাসে তাহাজ্জুদের পর বিতির পড়লেও রমযান মাসে তারাবীর পর জামাতের সাথেই বিতির পড়ে নেবেন।
আলমুহীতুল বুরহানী ২/২৬৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৪৪; ফাতহুল কাদীর ১/৪০৯; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ৪২১; মারাকিল ফালাহ, পৃ. ২১১
একুশে সংবাদ.কম/সম
আপনার মতামত লিখুন :