AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

যেসব কারণে অজু মাকরুহ হয়


Ekushey Sangbad
ধর্ম ডেস্ক
১০:৩০ এএম, ১৩ জুলাই, ২০২৩
যেসব কারণে অজু মাকরুহ হয়

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য অজু করতে হয়। নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, স্পর্শ এবং এ জাতীয় ইবাদত পালনের জন্য অজু করা আবশ্যক। অজু ছাড়া এই ইবাদতগুলো পালন করা যায় না।

 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর।

 

সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে এবং তার নিআমত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর। -(সুরা মায়েদা, আয়াত, ০৬)


আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি কি তোমাদের এমন কাজ জানাব না, যা করলে আল্লাহ (বান্দার) পাপগুলো দূর করে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন? লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি বলুন। তিনি বললেন, অসুবিধা ও কষ্ট সত্ত্বেও পরিপূর্ণরূপে অজু করা, মসজিদে আসার জন্য বেশি পদচারণ করা এবং এক সালাতের পর আর এক সালাতের জন্য প্রতীক্ষা করা; আর এ কাজগুলো হলো সীমান্ত প্রহরার স্বরূপ। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৭৫)

 

অজু করার নির্দিষ্ট পদ্ধতী ও সুন্নত আছে। অজু করার সময় এই সুন্নতগুলোর প্রতি খেয়াল না করলে অজু হয়ে যাবে, তবে তা মাকরূহ বা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে অপছন্দনীয় বলে গণ্য করা হবে।

 

অজুর সময় মাকরুহ বা অপছন্দনীয় কিছু কাজের বিবরণ তুলে ধরা হলো-

**অজু করার সময় ধারাবাহিকতা রক্ষা না করা।
** অপবিত্র জায়গায় বসে অজু করা।
** অজু করার সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা।
** অজু করার সময় জাগতিক বিষয়ে কথাবার্তা বলা। তবে কোনও বিশেষ প্রয়োজনে দু একটি কথা বলা যেতে পারে। এতে কোনও আপত্তি নেই।

** মুখ অথবা অন্য কোনও অঙ্গে জোরে পানি মারা।
**মুখে পানি দেওয়ার সময় সুরসুর করে শব্দ করা।

** তিনবারের বেশি কোনও অঙ্গ ধোয়া অথবা অজুর অঙ্গগুলো একবার ধুয়েই মুছে ফেলা। তবে কোনও কারণবশত এমন করলে কোনও সমস্যা নেই। কোনও কারণ ছাড়া এমন করা ঠিক নয়।

** অজু সময় ডান হাতে নাক পরিষ্কার করা।
** প্রথমে বাম হাত বা বাম পা ধোয়া। (ফিকহুন নিছা, ৪৩)
 

একুশে সংবাদ/স ক

Link copied!