পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা মানুষের মনে সতেজতা আনে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্রতা অর্জনকারীর প্রশংসা করেছেন এবং তিনি তাদেরকে ভালবাসেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদেরকে ভালবাসেন এবং ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে।’ (সূরা বাকারাহ, আয়াত, ২২২)।
আল্লাহ মসজিদে কুবার অধিবাসীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘সেখানে এমন লোক আছে, যারা ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন।’ ( সূরা তওবা, আয়াত, ১০৮)।
পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা অর্জনের বড় একটি মাধ্যম গোসল করা। অনেকের মাঝে খালি গায়ে বা বিবস্ত্র হয়ে গোসল করার প্রবণতা দেখা যায়।
এ সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো- প্রয়োজন ছাড়া বাথরুমে খালি গায়ে গোসল করা উচিত নয়। হাদিসে এ ব্যাপারে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। বাথরুমে খালি গায়ে গোসল কিংবা অজু করা সুন্নত ও শিষ্টাচার-পরিপন্থী। তাই এমন কাজ না করাই উচিত।
ফাতাওয়া মাহমুদিয়াতে এসেছে, ‘গোসলখানায় যদি কোনো পর্দাহীনতা না হয় তাহলে উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়েয আছে। তবে এটা না করাই উত্তম। কেননা শয়তান তখন ধোঁকা দেয়। এটা নিন্দনীয় কাজ।’ সুতরাং এমনটি করা অনুচিত। -(৪/৩৮৭)
এক হাদিসে মুয়াবিয়া বিন হাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তুমি তোমার স্ত্রী ছাড়া অন্যদের কাছ থেকে তোমার লজ্জাস্থান সর্বদা হেফাজত করো (অর্থাৎ ঢেকে রাখো)।
আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! যদি কোনো ব্যক্তি কোথাও একাকী থাকে! (তখনো কি তা ঢেকে রাখতে হবে?)।’ তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, কেননা আল্লাহকে অধিক লজ্জা করা উচিত।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৬৯)
তবে কেউ যদি কোনো কারণে বা প্রয়োজনে খালি গায়ে গোসল করতে চায়, তাহলে লোকচক্ষুর আড়ালে করলে এই সুযোগ রয়েছে। বিশেষত, স্বামী ও স্ত্রী একসঙ্গে গোসল করার কথা হাদিসে এসেছে। মহানবী (সা.) তার স্ত্রী মাইমুনা (রা.) ও আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে একত্রে গোসল করেছেন। এটি সহিহ বুখারি ও মুসলিম দ্বারা প্রমাণিত।
এ বিষয়ে কেউ কেউ মুসা (আ.)-এর বিবস্ত্র হয়ে গোসল করার ঘটনাও প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। (দেখুন : বুখারি, হাদিস : ৩৪০৪) তাই এ বিষয়ে অবকাশ থেকে যায়, যদিও এটি সুন্নত নয় এবং অনুত্তম কাজ।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :