প্রাকৃতিক দুর্যোগ- যথা ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি বা খরা, দুর্ভিক্ষ, মহামারি, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, বরকত-শূন্যতা প্রভৃতি মানুষেরই কর্মের ফল। ধর্মীয় ও নৈতিক অবক্ষয়ে পৃথিবী ভারাক্রান্ত। ঝড়, ভারী বর্ষণ, সাইক্লোন, খরা, শৈত্যপ্রবাহ এরই পরিণাম।
তবে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা অযথা কাউকে শাস্তি দিতে চান না; বরং মানুষের ওপর যে বিপদ আসে, তা তাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ।
ভূমিকম্পের সময় করণীয় আমল
ভূমিকম্পের সময় কিছু আমল করার মধ্য দিয়ে ক্ষতি থেকে বাঁচার সুযোগ রয়েছে। এসব আমল করতে করতে মারা গেলেও ইমানি মউতের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে নাজাত ও জান্নাত পাওয়ার সুযোগ থাকছে।
হাদিস শরিফে আছে- ‘যখন কোথাও ভূমিকম্প হয় অথবা সূর্যগ্রহণ হয়, ঝোড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন মানুষের উচিত মহান আল্লাহর কাছে অতি দ্রুত তওবা করা, তার কাছে নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা এবং মহান আল্লাহকে অধিক হারে স্মরণ করা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা। এ ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.) নির্দেশে দিয়ে বলেছেন, ‘দ্রুততার সঙ্গে মহান আল্লাহর জিকির (স্মরণ) করো, তার কাছে তওবা (ক্ষমা প্রার্থনা) করো’। (বুখারি ২/৩০; মুসলিম ২/৬২৮)
সুন্নত অনুযায়ী, ভূমিকম্পের সময় আমাদের জন্য আমল হচ্ছে আল্লাহর জিকির, তওবা করা ও আজান দেওয়া। আর আল্লাহর জিকিরের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে নামাজ পড়া, কোরআন তিলাওয়াত বা দোয়া পড়া। দুর্যোগের সময় জিকিরের আরো উপায় হতে পারে দোয়া ও ইস্তিগফার পড়ার পর কোরআন তেলাওয়াত, তাসবিহ পাঠ বা জিকির করা।
তওবার দোয়া
> ‘আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি যাম্বিও ওয়া আতুবু ইলাইহি, লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।’
অর্থ: ‘আল্লাহর কাছে আমি ক্ষমা চাই সব পাপ থেকে এবং আমি তাঁর দিকেই ফিরে আসছি, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া গোনাহ থেকে বাঁচার ও নেক কাজ করার কোনোই শক্তি নেই’।
> ‘আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি’।
অর্থ: ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক এবং আমি তার দিকেই ফিরে যাচ্ছি (বা তওবা করছি)’।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :