প্রতিবছর বড়দিনে উৎসবে মুখরিত থাকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বেথলেহেম। কিন্তু এবার তার লেস মাত্র নেই। যিশুখ্রিষ্টের জন্মস্থান বেথলেহেম এখন প্রায় জনশূন্য। বাসাবাড়িতেও নেই কোনো আনন্দ।
এরই মধ্যে গাজায় এবার যিশুকে উপস্থাপন করা ইনকিউবেটরে থাকা শিশু হিসেবে। অবরুদ্ধ গাজার শিশুদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এ শিল্পকর্ম করেছেন ফিলিস্তিনি শিল্পী রানা বিশারা এবং ভাস্কর সানা ফারাহ বিশারা। খবর আল জাজিরার
শিল্পকর্মটি স্থাপন করা হয়েছে গাজার পশ্চিম তীরের বেথলেহেমের চার্চ অফ নেটিভিটির বাইরে। সেখানে একটি ইনকিউবেটরের ভেতরে লাল-সাদা রঙের কেফিয়াহ’র চাদরের ওপর ব্রোঞ্জের যিশুকে ভাস্কর্যরূপে তুলে ধরা হয়েছে।
এদিকে গাজার খ্রিষ্টান পরিবারগুলো বলছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের অনেক স্বজন নিহত হয়েছেন। গাজার মানুষ একবেলা খাবারের জন্য ছোটাছুটি করছে– এমন পরিস্থিতিতে কী করে বড়দিন উদযাপন সম্ভব!
পশ্চিম তীরের বাসিন্দা নোহা হেলমি তারাজি। ৮৭ বছর বয়সী এই নারী প্রতিবছর সাধারণত একটি বড় গাছ দিয়ে তার বাড়ি সাজান। মিষ্টান্নসহ নানা রকম মুখরোচক খাবার তৈরি করেন। নাতি-নাতনিদের জন্য ক্রিসমাস ট্রির নিচে উপহারগুলো রাখেন। কিন্তু এবার তিনি কিছুই করেননি।
তিনি বলেন, আমাদের হৃদয়ে কোনো আনন্দ অবশিষ্ট নেই। ইসরায়েলি বোমা গাজায় আমার বোন ও ভাইকে হত্যা করেছে। অন্য বোন এখন পঙ্গু; যারা গাজায় বাস করত।
এদিকে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো হামলায় ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও বর্বর এ হামলায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :