মহান আল্লাহপাক একটি রাতের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বছরের একটি মাত্র ওই রাতের মর্যাদা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। রাতটিকে সংখ্যাতীত ফেরেশতা আগমন করেন পৃথিবীবাসীর অদৃষ্ট ভাগ্য নিয়ে যা অবধারিত করেছেন মহান আল্লাহ। মহান আল্লাহ সে রাতের নাম দিয়েছেন লাইলাতুল কদর। যা আমাদের ভাষায় শবে কদর বা ভাগ্য রজনী।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সারাদেশে পালিত হবে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে এ রজনী পালন করবেন।
কোরআনের বিভিন্ন আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় শবে কদর রমজান মাসে। কিন্তু এর সঠিক তারিখ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায় না। ইসলামি স্কলারগণ বিভিন্ন হাদিস পর্যালোচনা করে বলেন, শবেকদর রমজান মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে আসে। কিন্তু এরও কোনো তারিখ নির্দিষ্ট নেই বরং যেকোনো রাতে হতে পারে। আবার প্রত্যেক রমজানে তা পরিবর্তিতও হতে পারে। তবে শবে কদর হওয়ার অধিক সম্ভাবনা রয়েছে রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, রমজান মাসের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করো। -বুখারী ২০২১
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। -মুসলিম ১১৬৯
পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামী রোববার সরকারি ছুটি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :