যে ব্যক্তি কোরবানি দেবে তার জন্য জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানি করার আগ পর্যন্ত শরীরের পশম, চুল ও নখ ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যখন (জিলহজ মাসের) প্রথম দশক শুরু হয় এবং তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছা রাখে, সে যেন তার চুল ও শরীরের কোনো অংশ স্পর্শ না করে (না কাটে)’। (মুসলিম শরিফ, হাদিস: ১৯৭৭, নাসায়ি শরিফ: ৪৩৬১, ৪৩৬২, ৪৩৬৪ , মুসনাদে আহমাদ: ২৫৯৩৫)
তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি জিলহজের নতুন চাঁদ দেখেছে এবং কোরবানির নিয়ত করেছে সে যেন নিজের চুল ও নখ (কোরবানির পূর্ব পর্যন্ত) না কাটে’। (তিরমিজি শরিফ: ১৫২৩, ইবনে মাজাহ শরিফ হাদিস: ৩১৪৯)
তবে এই মুস্তাহাব হুকুম তাদের জন্য প্রযোজ্য, যারা এর ওপর আমল করলে নখ কাটা ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কারের মেয়াদ ৪০ দিন অতিক্রম করবে না। কিন্তু এর ওপর আমল করতে গিয়ে যদি ৪০ দিন অতিক্রম হয়ে যায় তবে সেক্ষেত্রে ৪০ দিনের ভেতরে অবশ্যই তা পরিষ্কার করে নেবে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন...গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা এবং বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নীচের লোম ছেঁচে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যে আমরা তা ৪০ দিনের অধিক দেরি না করি’। (মুসলিম শরিফ : ৪৮৭)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোরবানিদাতা তার নখ ও চুল ইত্যাদি কখন কাটবে? এর উত্তর হচ্ছে কোরবানিদাতা নিজের কোরবানি সম্পন্ন হওয়ার পর চুল-নখ ইত্যাদি কাটবে। কেননা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যার কোরবানির পশু রয়েছে, সে যেন জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ উঠার পর থেকে কোরবানি করার পূর্ব পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে’। (আবু দাউদ: ২৭৯১)
আর জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ উঠার পর থেকে কোরবানি করার পূর্ব পর্যন্ত চুল ও নখ না কাটার বিধান শুধুমাত্র যারা কোরবানি তাদের জন্য প্রযোজ্য অন্য কারো জন্য নয়। (মুসলিম শরিফ: ১৯৭৭, নাসায়ী শরিফ: ৪৩৬১, ৪৩৬২, ৪৩৬৪, মুসনাদে আহমাদ: ২৫৯৩৫)
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :