পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা আজ (বুধবার)। মহানবী (সা.)-এর রোগমুক্তি দিবস। প্রতিবছর হিজরি সালের সফর মাসের শেষ বুধবার মুসলিম বিশ্বে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ স্মারক দিবস হিসেবে পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা উদযাপিত হয়।
এদিকে পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা উপলক্ষে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন মাদারীপুর টেকেরহাটের হযরত মাওলানা মো. কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অতিরিক্ত সচিব ড. মহা. বশিরুল আলম।
আখেরি চাহার সোম্বা কী?
জানা গেছে, ২৩ হিজরির শুরুতে মহানবী (সা.) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইমামতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না তিনি। ২৮ সফর মহানবী (সা.) সুস্থ হয়ে ওঠেন। দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার। ঐদিন শেষবারের মতো গোসল করে নামাজে ইমামতি করেন তিনি। তার সুস্থতার খবরে সাহাবিরা উচ্ছ্বসিত হয়ে হাজার হাজার স্বর্ণমুদ্রা, বহু উট ও দুম্বা দান করেন। তবে পরদিন আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন মহানবী (সা.)।
ফারসিতে দিনটিকে আখেরি চাহার সোম্বা নামে অভিহিত করা হয়। ফারসি শব্দমালা আখেরি চাহার সোম্বা অর্থ শেষ চতুর্থ বুধবার। মহানবী (সা.) জীবনে শেষবারের মতো রোগমুক্তি লাভ করেন বলে দিনটিকে মুসলমানরা প্রতিবছর ‘শুকরিয়া দিবস’ হিসেবেও উদযাপন করে। তারা নফল ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে দিবসটি অতিবাহিত করে। তাই উম্মতে মুহাম্মদির আধ্যাত্মিক জীবনে আখেরি চাহার সোম্বার গুরুত্ব ও মহিমা অপরিসীম।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :