`ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু` প্রসঙ্গটি সামনে এলেই বারবারই তা পাশ কাটানোর প্রবণতা দেখা যায়। তবে, সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনায় বেরিয়ে আসছে অনেক কিছু। বেরিয়ে এসেছে, ডাক্তার সংযুক্তা সাহার আরও কিছু প্রতারণার। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ অপারেশন করতে গিয়ে হরহামেশাই কেটে ফেলেন রোগীর জরায়ু, পায়ুপথ কিংবা মূত্রনালী। এমনকি সিজারিয়ান রোগীকে প্রচার করেন নরমাল ডেলিভারি হিসেবে।
সরাসরি অপারেশন থিয়েটার থেকে ফেসবুক লাইভে থাকেন সেন্ট্রাল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সংযুক্তা সাহা। নবজাতকের জন্ম হওয়ার পরপরই নিয়মিতই নিজের সফলতা জাহির করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কিংবা চিকিৎসা পেশার সংবেদনশীলতার দিকে যেনো ভ্রুক্ষেপ নেই এতটুকু।
নরমাল ডেলিভারির এমন চকমপ্রদ প্রচার-প্রচারণা দেখে ২০২০ সালের নভেম্বরে ডাক্তার সংযুক্তার কাছে গিয়েছিলেন এক নারী পুলিশ সদস্য। তারপর তার জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। সেন্ট্রাল হাসপাতালে তার সন্তান জন্মের পর নরমাল ডেলিভারি হিসেবে ফেসবুকে প্রচারণা চালান সংযুক্তা। কিন্তু পরে ওই প্রসূতি নারী তার পেটে সেলাই দেখতে পান। কেবল তাই-ই নয়, নরমাল ডেলিভারির নামে অপারেশন করতে গিয়ে কেটে ফেলা হয় ওই নারীর মলদ্বার।
ওই নারী পুলিশ সদস্য বলেন, আমি কিছুই জানতাম না। আমার নরমাল ডেলিভারি করছে, এটা রিভিউ ভিডিও করছে। আমাকে যে সেলাই করা হয়েছে তারা আমাকে রিলিজ দিয়ে বলে নাই। তিনদিন পর সেলাইগুলো ফেটে যাওয়ার পর আমার অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়।
রাজধানীর মানিকদি এলাকার ফাতেমা বেগম। গেল বছরের জুন মাসে জরায়ুর টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে তার খাদ্যনালী ফুটো করে ফেলেন সেই ডাক্তার সংযুক্তা।
ফাতেমা বেগম বলেন, সেন্ট্রাল হাসপাতালে আমার অপারেশন করল। আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে আসছে যে আমার খাদ্যনালী ছিদ্র করে ফেলছে মেশিনের দ্বারা। দুই মাসে আমার তিনটা অপারেশন করা হয়। সংযুক্তা সাহা আমাকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
ডাক্তার সংযুক্তা তার ভিডিওতে গর্ব করেই বলেন যে, দিনে ১৫ থেকে ২০টি অপারেশন করেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে তার চিকিৎসার মান নিয়ে।
একুশে সংবাদ/ব.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :