শনির আখড়ার বাসিন্দা রানি বেগমের দুই সন্তান ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় এক সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। একবার বাসায়, আরেকবার হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে এ গৃহিণীর নাভিশ্বাস উঠেছে। পরিবারের আরও কেউ নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হতে পারে এ আতঙ্কে তিনি তটস্থ।
অথচ তার বাসার ছাদে সারি সারি সাজিয়ে রাখা ফুলের গাছের টবে দিনের পর দিন বৃষ্টির পানি জমে থাকছে। বাড়ির পানির মিটার হাউজে জমা স্বচ্ছ পানি এডিস মশার উপযুক্ত প্রজনন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সিটি করপোরেশন থেকে লোকজন এসে সেখানে মশা মারার ওষুধ ছিটিয়ে দিয়ে ওই জায়গা সব সময় পানিশূন্য রাখার তাগিদ দিয়ে গেছে। তবে শুধু রানি বেগমই নয়, ওই ভবনের কোনো বাসিন্দারাই সেদিকে নজর নেই।
সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, জুলাই মাসে ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গু মহামারির রূপ নেওয়ায় মানুষ উদ্বেগ-আতঙ্কে তটস্থ হয়ে পড়েছে। তবে এডিস মশার প্রজনন কেন্দ্র ধ্বংস, ডেঙ্গু মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে দিনে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো ও পরিবারের কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে সার্বক্ষণিক মশারির নিচে রাখাসহ অন্যান্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমে নতুন করে ভাটার টান ধরেছে। এসব ব্যাপারে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ভুক্তভোগী পরিবারগুলোও চরম উদাসীনতা দেখাচ্ছে। যদিও তারা অনেকেই তাদের অসচেতন থাকার পক্ষে নানামুখী যুক্তি তুলে ধরছেন।
তাদের কারো কারো ভাষ্য, নিজেদের ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি বাড়ির আশপাশের এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে কোনো লাভ হচ্ছে না। কারণ রাস্তার পাশে এবং জলাবদ্ধ খোলা ড্রেনে ডেঙ্গু মশা নিশ্চিন্তে বংশবিস্তার করছে। এছাড়া অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল-ক্লিনিক ও কলকারখানাসহ বেশিরভাগ কর্মস্থল ডেঙ্গু মশার নিরাপদ প্রজনন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ফলে তারা বাসা-বাড়িতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকলেও কর্মস্থলে জন্মানো এডিস মশার কামড় খেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। অফিসের গাড়ি কিংবা গণপরিবহণে চড়ে বাড়ি ফেরার সময়ও একইভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছেন। এ অবস্থায় শুধু বাসা-বাড়িতে সচেতন থাকলে ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এ নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও সচেতনতামূলক কার্যক্রম থেকে সরে এসে নিজেকে অদৃষ্টের হাতে শপে দিয়েছেন অনেকেই।
এদিকে নগরীর যেসব এলাকায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের বসবাস, ওইসব এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই ডেঙ্গু নিয়ে অসচেতন। রাজধানীর মুগদা, মান্ডা, যাত্রাবাড়ী, মাতুয়াইল, শনির আখড়া, বাড্ডার নামা অঞ্চল, মেরাদিয়া ও বাসাবো এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেখানকার অধিকাংশ বাড়ির পানির মিটারের হাউজে স্বচ্ছ পানি জমে রয়েছে। অনেকের ছাদে এবং সেখানে রাখা ফুলের টবসহ বিভিন্ন পাত্রে জমা পানিতে এডিস মশার উপযুক্ত প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তবে এ নিয়ে তাদের প্রায় কারোরই তেমন কোনো ভ্রম্নক্ষেপ নেই। অথচ ডেঙ্গু আতঙ্কে তারা প্রায় সবাই তটস্থ। এদের কারো কারো ঘরে এক বা একাধিক ডেঙ্গু রোগী রয়েছে। কেউবা হাসপাতালের বিছানায় মৃতু্যর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
নগরবাসীর এ অসচেতনার জন্য অনেকেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। তাদের ভাষ্য, জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি।
সচেতন হওয়া বা করার ব্যাপারটি মুখের কথাতেই রয়ে গেছে। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সবাইকে সচেতন হতে বলছে, কিন্তু রাস্তাঘাট, ড্রেন, সরকারি পরিত্যক্ত জমি, খাল-নালাসহ তাদের নিজস্ব জায়গাগুলো সঠিকভাবে মশামুক্ত করার উদ্যোগ নিচ্ছে না। সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করতে কিছু প্রচার-প্রচারণা চালানো হলেও তা মূলত শোডাউনের মধ্যেই গন্ডিবদ্ধ। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ডেঙ্গু নিধনে কেউ কোনো কার্যক্রম না নিয়ে `বেস্নম গেমে` তৎপর।
ফলে বসতবাড়ির বাইরে বিভিন্ন ভবন, নির্মাণাধীন প্রকল্প, রাস্তাঘাট, বাস-লঞ্চ টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন পাত্রে বৃষ্টি কিংবা অন্য কোনো পানি জমে সেখানে এডিস মশার বংশ বিস্তার ঘটছে। যা মোকাবিলা করা সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব। সচেতন নগরবাসীর ঘরে এডিস মশার লার্ভা জন্মানোর কোনো স্থান না থাকলেও অনেক সময় তা বাইরে থেকে উড়ে এসে তাদের কামড়াচ্ছে। এতে অনেকের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার আগ্রহ উধাও হয়ে গেছে।
রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, `ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ডেঙ্গু মোকাবিলায় যে ধরনের লোক দেখানো নানা কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষ সতর্ক হয়ে কী করবে।` তার ভাষ্য, নগরবাসী নিজের ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি বাড়ির আশপাশের অংশে পড়ে থাকা কোনো পাত্র কিংবা অন্য কোথাও জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করছে কি না তা হয়তো খেয়াল রাখতে পারবে। কিন্তু রাস্তাঘাটের ছোটখাটো গর্ত ও সরকারি নির্মাণ প্রকল্প বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকলে তা কে পরিষ্কার করবে?
সাইনবোর্ড একটি গার্মেন্টের লাইন সুপারভাইজার জরিনা খাতুন বলেন, বিশাল গার্মেন্টে রাত-দিন তারা মশার কামড় খাচ্ছেন। অথচ মশক নিধনের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানালেই ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চাকরি থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিচ্ছে। তার ভাষ্য, শুধু সেখানকার গার্মেন্টেই নয়, গোটা ঢাকা শহরের হাতে গোনা কিছু গার্মেন্ট ছাড়া কোথাও মশক নিধনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে বিজিএমইএর পক্ষ থেকেও কোনো নির্দেশনা নেই।
গার্মেন্ট শ্রমিক সালেহা বেগম জানান, বিভিন্ন সময় বিপুল সংখ্যক কর্মী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ঢাকায় দেখভাল করার মতো কেউ না থাকায় তাদের অনেকেই বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এ কারণে গার্মেন্ট কর্মীদের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
ওই শ্রমিক নেত্রীর ভাষ্য, নিম্নআয়ের অধিকাংশ কর্মী বস্তি এলাকায় বসবাস করেন। তাদের অনেকের ঘরের পাশেই ছোটখাটো ডোবা রয়েছে। আর্থিক অসঙ্গতির কারণে গার্মেন্ট কর্মীরা অনেকে এখনো মশারি কিনতে পারেন না। তাই তাদের ঘর ও কর্মস্থল দুই জায়গাই অনিরাপদ। অথচ এ ব্যাপারে কেউই কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না।
এদিকে শুধু গার্মেন্টই নয়, সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যক্তি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ অধিকাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠানেই এডিস মশা এবং এর প্রজননস্থল ধ্বংসে কার্যকর তেমন কোনো তৎপরতা নেই। কোথাও কোথাও সকালের দিকে অ্যারোসল ছিটানো হলেও তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত নয়। দু`এক দিন ঘটা করে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হলেও বেশিরভাগ কর্মস্থলে তা নিয়মিত করা হচ্ছে না। ফলে এডিস মশার বংশ বিস্তারের আশঙ্কা আগের মতোই রয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ছোট বড় ক্লিনিকে ভর্তি শত শত রোগীর বিছানায় মশারি না টাঙিয়েই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে কামড়ে সে মশা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি কিংবা রোগীর অ্যাটেন্ডডেন্টদের কামড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে। এতে তারাও অনেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। মশক নিধন কিংবা এর প্রজননস্থল ধ্বংসের ব্যাপারেও অনেক হাসপাতাল-ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ উদাসীন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী কিংবা তার পরিবারের সদস্যদের সচেতন করার ব্যাপারেও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশেষ কোনো কর্মসূচি নেই। বরং কোনো কোনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগীর চিকিৎসা করাই তাদের কাজ; মশক নিধন কিংবা এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে তোলা তাদের দায়িত্ব নয়।
সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন হাসপাতাল এডিস মশার প্রজননস্থল হয়ে ওঠার কথা খোদ স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি অফিস মশা প্রজনন করছে। বেসরকারি অফিসেও একইভাবে মশার প্রজনন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। তথ্য আছে, বেসরকারি ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ডেকোরেশন করা হয়। কিন্তু সেখানে মশা হচ্ছে। হাসপাতালের আশপাশে এডিস মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। বারবার সতর্ক করার পরও যারা মশার প্রজনন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।` যদিও মন্ত্রীর এ হুঁশিয়ারির পর কোনো সরকারি অফিসের বিরুদ্ধে মশা প্রজননের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে খোদ হাসপাতালই যে এডিস মশার অন্যতম ঘাঁটি হয়ে উঠেছে বিভিন্ন খবরে সে চিত্রও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গত ২৯ জুলাই আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল ভবন, বেজমেন্ট ও স্টোর হাউসসহ ছয়টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে হাসপাতালটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খোদ সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা না মেনে অসচেতনভাবে রোগী ভর্তিরও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। যা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরেই স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালের নতুন ভবনের পঞ্চম তলা থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে। সেখানে পা ফেলার জায়গা নেই। ওয়ার্ড ছাড়িয়ে রোগীদের জায়গা হয়েছে মেঝেতে, সিঁড়ির খোলা অংশে, বাথরুমের পাশে। রোগীদের জন্য নেই মশারি, খোলা আকাশের মতো খোলা ছাদের নিচে বেড না পেয়ে মেঝেতে জায়গা হয়েছে তাদের।
এদিকে ঢামেকের চেয়েও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু এখানেও পা ফেলারও জায়গা নেই। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য একের পর এক ওয়ার্ড বাড়িয়েও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। বারান্দায়ও রোগীদের রাখতে হয়েছে। যেখানে বেড নেই, নেই মশারি। অথচ ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার অন্যতম শর্তই হচ্ছে তাদের মশারির ভেতরে রাখতে হবে। কিন্তু রোগী বেশি হওয়ার কারণে হাসপাতালগুলোতে সেটা করা সম্ভব হচ্ছে না। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরাই। তারা বলছেন, এভাবে চিকিৎসা দিয়ে সঠিকভাবে ডেঙ্গু চিকিৎসার গাইডলাইন মানা সম্ভব হচ্ছে না। এতে রোগীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি তাদের ভোগান্তিও বাড়ছে।
এদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, বস্তি ও রেল স্টেশনে যে অভিযান চালানো হয়েছে, তাতে প্রতিটি জায়গাতেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। অথচ এসব স্থানে বিপুল সংখ্যক সচেতনতামূলক ব্যানার-ফেস্টুন রয়েছে। সেখানকার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনেককে বিভিন্ন প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে জোরালো বক্তব্য দিতেও দেখা গেছে।
কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ে নগরবাসী চরম আতঙ্কে থাকলেও তাদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম যে গতিতে চলছে, তাতে এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া খুবই কঠিন হবে। শুধু ওষুধ ছিটিয়ে ডেঙ্গু দমন করা যাবে না বলেও সাফ জানান দেন তারা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক বাড়লেও সচেতনতা বাড়েনি। ফলে কার্যকর বা দীর্ঘমেয়াদি কোনো ব্যবস্থা কোথাও নেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে ডেঙ্গু জাঁকিয়ে বসেছে। যে গুরুত্ব দিয়ে সবার ঝাঁপিয়ে পড়া দরকার, সেটা হচ্ছে না। ডেঙ্গু নিয়ে বড় ধরনের গবেষণা, নজরদারি নেই।` ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :