রোববার জানা গিয়েছিলো বিমানবন্দর কাস্টমস গুদাম থেকে ১৫ কেজি সোনা গায়েবের খবর। রাত পোহাতেই সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ালো ৫৫ কেজিতে।
ঘটনাস্থল ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস গুদাম। চোরাইপথে সোনা পাচারকালে যেসব সোনার জব্দ হয়ে থাকে, সেই সোনা রাখা হয় এই গুদামে। এবারে সেই সুরক্ষিত গুদামেই হানা!
আর লকারে থাকা ৫৫ কেজির বেশি সোনা চুরি বা হাওয়া হয়ে গেল। তাও আবার টার্মিনাল ভবনের ভেতরে সুরক্ষিত স্থান থেকে! এমন চুরির লজ্জায় ফেলে দেবার মতো ঘটনা। এনিয়ে তো কুলি-মজুরেরও প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর এই সোনা চুরির ঘটনা নজরে আসে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার। বিষয়টি কাস্টমস গুদামের দেওয়াল বেয়ে বেড়িয়ে আসে রবিবার। বিষয়টি খতিয়ে থেকে শুল্ক বিভাগ একজন যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে ৫ জনের কমিটি গঠিত হয়েছে।
শুল্ক বিভাগের ভাষ্য অনুযায়ী, চুরি হওয়া এসব সোনা ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় জব্দ হয়েছে। কিন্তু এত দিন ধরে এত পরিমাণ সোনা বিমানবন্দরের গুদামে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এনিয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা আজাদের ধারণা, এক দিনে নয়, বিভিন্ন সময়ে লকার থেকে সোনা সরানো হয়েছে। এর সঙ্গে ভেতরের লোকজন জড়িত।
সোনা চুরির ঘটনায় রোববার রাতে ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার আসামি অজ্ঞাতনামা।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :