সড়ক পরিবহনে অনিয়মের কারণে জিম্মি সাধারণ মানুষ। ভাড়া আদায়ে চলছে চরম নৈরাজ্য। দফায় দফায় ভাড়া বাড়িয়ে দ্বিগুন করা হলেও দেখার কেউ নেই । মিরপুর থেকে প্রেসক্লাব, পল্টনের ভাড়া ছিল ১৭ টাকা ২০, ২৫ হয়ে এখন ৩০,৩৫, ৪০ টাকা। সকালে যেই গাড়ীতে ভাড়া ৩০ টাকা দুপুরে ৪০ টাকা আবার আবার রাতে ৩৫ টাকা ভাড়া এটা প্রতিদিনের চিত্র। সারা দেশে সড়কে একই দৃশ্য বিদ্যমান। তেলের দাম বৃদ্ধি ,করোনা মহামারিসহ নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে বাড়ানো হয়েছে ভাড়া। সংকট কেটে যাওয়ার পর কখনো ভাড়া কমানোর দৃষ্টান্ত নেই বলে অভিাযোগ যাত্রীসাধারণের।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারী আসাদুল্লাহ বলেন, শ্রীপুর থেকে প্রভাতী বনশ্রী নামের একটি লোকাল পরিবহন যাতায়াত করে ঢাকায়। এদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রচুর অভিযোগ। মাওনা থেকে ঢাকার ভাড়া ছিল ৭৫ টাকা সেই ভাড়া এখন ১৫০ টাকা। সরকারি ছুটি কিংবা বিভিন্ন উৎসব আয়োজনে এরা ভাড়া বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুন। এসব গাড়ীতে এক, দুই তিন স্টেশন পর্যন্ত একই ভাড়া আদায় করা হয়। যেমন টঙ্গীর পরে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যেখানেই যাত্রী নামে ভাড়া নিবে একই। টঙ্গী ব্রিজের আগে নামলে ভাড়া ৮০ টাকা ব্রিজ পার হলেই ভাড়া ১০০ টাকা। ২০ গজ রাস্তা পার হলে ভাড়া বেড়ে যায় ২০ টাকা।
একই সড়কের যাত্রী সুমন শেখ বলেন , এই সড়কে চলাচল করা সব গাড়ীর চিত্র একই রকম। এরা এক, দুই মিনিট পরপর দাড়িয়ে যাত্রী উঠায়। ভাড়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে প্রচুর অনিয়ম। মাঝেমধ্যে কিছু গাড়ীতে টিকিটের ডিবাইস থেকে টিকিট দেয়া হয়। কিন্তু একই গন্তব্যের জন্য ভিন্নভিন্ন টাকার টিকিট দিতে দেখা যায়। তিনি আরো বলেন, এসব ডিভাইস কারা নিয়ন্ত্রণ করে? আবদুল্লাহপুর থেকে পল্টনের ভাড়ায় ডিভাইসে ১০ টাকা কমবেশী হয়। তাহলে এসব ডিভাইসের নির্ভরযোগ্যতা কি?
মিরপুর ১২ থেকে প্রেসক্লাবে চলা গাড়ী বিকল্প পরিবহন, শিকড় পরিবহন, বিহঙ্গ, স্বাধীন পরিবহনসহ অন্যান্য গাড়ীর ভাড়ায রয়েছে তারতম্য। একজন নিয়মিত যাত্রী বলেন, এসব গাড়ীর কন্ট্রাক্টর, হেলপার ভাড়া আদায়সহ যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ এমনকি যাত্রীদের গায়ে হাত তুলে থাকে। সড়কের যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে এরা যাত্রী তুলে। তাদের নিদির্ষ্ট কোন স্টপেজ নেই কয়েকগজ গিয়েই তারা যাত্রী তুলতে দাড়িয়ে থাকে। এক যাত্রী জানায়, গাড়ী দাঁড় করিয়ে যাত্রী খুজঁতে তারা পিছন দিকে চলে যায়। তারা সামনে দাঁড়ানো যাত্রী চায়না, ১০, ১৫ মিনিট দাড়িয়ে থেকে যাত্রী ডাকতে থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জনায়, নানা অজুহাতে সড়ক পরিবহনের ভাড়া বাড়নো হলেও তেলের দাম কমলেও ভাড়া বাড়ানোর বিরল দৃষ্টান্ত রয়েছে এই দেশে। ভুক্তভোগীরা জনান, কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক বাজারসহ দেশে তেলের দাম কমানো হলেও এখন পর্যন্ত কোন গাড়ীতে ১ পয়সাও ভাড়া কমানো হযনি। বরং অনেক জায়গায় ভাড়া বাড়ানো হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীমহল।
একুশে সংবাদ/হ.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :