গত মাস কয়েক ধরেই দেশে রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে অনেকে নানাভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। অনেকে প্রচার করছেন যে, সাপটি কামড় দিলে দ্রুত মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, রাসেলস ভাইপার সাপ মেরে ফেরার প্রচারণাও চালানো হচ্ছে ফেসবুকে। বিশেষ করে উপকূলীয় জেলাগুলোতে এ আতঙ্ক এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে যে, সাপ দেখলেই পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। ফলে গত কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাসেলস ভাইপার সাপ মনে করে আতঙ্কে সব ধরনের সাপ পিটিয়ে মারা হচ্ছে।
তীব্র বিষধর রাসেলস ভাইপার স্থানীয়ভাবে চন্দ্রবোড়া ও উলুবোড়া নামেও পরিচিতি। সাপটি দেখতে অনেকটা অজগরের বাচ্চার মতো। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতে কাজ করতে এসেছিলেন স্কটিস সার্জন প্যাট্রিক রাসেল। ১৭৯৬ সালে তিনি এই সাপ সম্পর্কে গবেষণা করেন। তার নাম অনুসারে এই সাপের নামকরণ করা হয়।
বাংলাদেশে ২০০২ সালে প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন রাসেলস ভাইপারকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। সাপটি মূলত শুষ্ক অঞ্চলের; বিশেষ করে বরেন্দ্র এলাকার বাসিন্দা হলেও এখন উপকূলীয় এলাকার কয়েকটি জেলাসহ অন্তত ৩৫টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা। আর প্রায়ই এসব এলাকা থেকে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মৃত্যুর খবর আসছে। ফলে সাপটি নিয়ে জনপরিসরে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি সেই পরিমাণ ভয় ও আতঙ্কও তৈরি হয়েছে।
ইতোমধ্যে রাসেলস ভাইপার ছড়িয়েছে দেশের প্রায় ২৮টি জেলায়। তবে সবচেয়ে বেশি আনাগোনা মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুরসহ পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার অববাহিকায়। এ অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো ওঝা বা কবিরাজের কাছে না নিয়ে খুব দ্রুত হাসাপতালের নেয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদফতরের।
বনবিভাগ বলেছে, গত ১০ বছর আগেও এই চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার তেমন চোখে পরত না। মূলত ২০১২ সালের পর থেকে এই সাপের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়,
বাংলাদেশে মোট ৭৮ প্রজাতির সাপ রয়েছে। এর মধ্যে ৫২টি বিষহীন ও ২৬টি বিষধর। তবে এই ২৬টি প্রজাতির বিষধর সাপের সবই আমাদের জন্য আশঙ্কাজনক নয়। মাত্র চার প্রজাতি আমাদের জন্য বিপজ্জনক। এগুলো হচ্ছে গোখরা, কালকেউটে, রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া ও স-স্কেলড ভাইপার সাপ।
বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে ৮৫ ভাগের বেশি সাপেরই বিষ নেই। এমনকি রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ বিষধর সাপের তালিকায় নয় নম্বরে রয়েছে। আর এখন আতঙ্কিত হয়ে মানুষ যেসব সাপগুলো মারছে তার বেশিরভাগই নির্বিষ ও পরিবেশের জন্য উপকারী। প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপ জীববৈচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই অন্যান্য প্রাণীর মতই সাপও গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী,
বাংলাদেশে প্রতি বছর সাপে কামড়ানোর ঘটনা ঘটে ৮ হাজারের বেশি। এসব ঘটনায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে থাকে। সাপে কাটার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে মে মাস থেকে অক্টোবর মাস অবধি (বর্ষাকালে) এবং জুন মাসে সাপের প্রকোপ থাকে সবচেয়ে বেশি।
বেসরকারি সংস্থা ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন বলছে রাসেলস ভাইপার মোটেও দেশের সবচেয়ে বিষধর কিংবা প্রাণঘাতী সাপ নয়। বরং দেশে প্রতি বছর সাপের কামড়ে যত লোক মারা যায় তার অর্ধেকই মারা যায় পাতি কেউটে সাপের কামড়ে। তবে সময়মত চিকিৎসা না নিলে রাসেলস ভাইপারের কামড়েও মৃত্যু হতে পারে।
অনেকে বলছেন, রাসেলস ভাইপার খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ফলে সহসা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এই সাপের আধিক্য মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করবে। প্রশ্ন হচ্ছে, রাসেলস ভাইপার নিয়ে যে মাত্রায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে তা কতটা যৌক্তিক? সাপ গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন- এ প্রজাতির সাপ কামড়ালে তারও চিকিৎসা আছে এবং সময়মত চিকিৎসা নিতে পারলে মৃত্যু ঝুঁকি কমে আসে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেছেন,
দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম (সাপ কামড়ালে রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়) আছে এবং সব জায়গায় হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে লা হয়েছে, রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মানুষের সঙ্গে এই সাপের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই সাপ সাধারণত নিচু ভূমির ঘাসবন, ঝোপজঙ্গল, উন্মুক্ত বন, কৃষি এলাকায় বাস করে এবং মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। সাপটি মেটে রঙের হওয়ায় মাটির সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে খুব কাছে গেলে সাপটি বিপদ দেখে ভয়ে আক্রমণ করে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। এ জন্য সবাইকে সাবধানতা অবলম্বনের অনুরোধ জানানো হয়।
বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন,
রাসেলস ভাইপার সাপের আতঙ্কে যেগুলো মারা হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে শঙ্খিনী, অজগর, ঘরগিন্নি , দারাজ, ঢোঁড়াসাপ, গুইসাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ রয়েছে। এরাই রাসেলস ভাইপার সাপ খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য আনে। অথচ এই উপকারী সাপগুলো মেরে ফেলা হচ্ছে।
তারা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোয় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে না জেনেই মেরে ফেলছে প্রকৃতির বন্ধু নির্বিষ বিভিন্ন ধরনের সাপ ও সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। যে কোন সাপ দেখলেই মারা হচ্ছে।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী একুশে সংবাদকে বলেন, ``রাসেলস ভাইপার আগ্রাসী সাপ নয়। তাকে আঘাত করলেই কেবল সে তেড়ে আসে। সাপ মারার কোন দরকার নেই। সতর্ক হতে হবে। আমরা সচেতনতা তৈরির জন্য কাজ করছি``।
স্থাস্থ্য অধিদফতরের (এনসিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন একুশে সংবাদকে বলেন,
‘সাপে দংশন করলে তো প্রাথমিকভাবে বুঝা যাবে না যে সেটা বিষধর নাকি অবিষধর সাপ। তাই সবার উচিত হবে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা। কারণ এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকজন আছে। তারা বুঝতে পারবেন সেটা কতটা বিষয়ধর; অ্যান্টিভেনম দিতে হবে কিনা।’
সাপ আতঙ্কের সময়টাকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে সাপ সংগ্রহে নেমেছে বেশ কিছু চক্র। অথচ সাপ ধরায় এদের নেই কোনো অনুমোদন। বন বিভাগ বলছে, কোথাও আক্রান্তের ঘটনা ঘটলে বন বিভাগের হট লাইনে তথ্য দিতে হবে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী একুশে সংবাদকে বলেন, কোবরা ও ক্রেট প্রজাতির সাপ রাসেলস ভাইপার খেয়ে থাকে। যদি নির্বিচারে সাপ নিধনের সময় এ দুই প্রজাতির সাপ মেরে ফেলা হয়, তাহলে তো রাসেলস ভাইপার আরও বেড়ে যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরোজ জামান একুশে সংবাদকে বলেন,
বাংলাদেশের সাপকূল যদি হারিয়ে যায়, তবে পরিবেশে একটি বড় বিপর্যয় দেখে দেবে। ইঁদুরসহ অন্যান্য পোকামাকড় অনেক বেড়ে যাবে, কমে যাবে উৎপাদিত ফসলের পরিমাণও।
এদিকে বন বিভাগের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ একুশে সংবাদকে বলেন, সাপ আতঙ্কের সুযোগে একটি চক্র সাপ পাচারে নেমেছে। এ কারণে সবাইকে সাপ নিধনে আইন মেনে চলতে হবে।
রাসেলস ভাইপারের দশংনে দ্রুত মৃত্যু হয়?
গবেষক মোঃ আবু সাইদ একুশে সংবাদকে বলেছেন রাসেলস ভাইপার কামড় দিলেই রোগী মারা যায় এটিও সত্য নয়, বরং রোগী সহজে মারা যায় না। ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টার আগে সহজে রোগী মারা যায় না। বাংলাদেশে এ সাপের কামড়ের পর ১৫ দিন পর্যন্ত বেঁচে ছিলো এমন তথ্যও আছে।
ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন বলছে দেশের যে সব সাপের সাবকিউটেনাস মেডিয়ান লিথাল ডোজ জানা (বিষের মাত্রা) তাদের মধ্যে এটা সপ্তম (সামুদ্রিক সাপসহ)।
সাপের কামড় এড়াতে করণীয়
যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গেছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে; লম্বা ঘাস, ঝোপঝাড়, কৃষি এলাকায় হাঁটার সময় সতর্ক থাকতে হবে; গর্তে হাত-পা ঢুকানো যাবে না; সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করার সময় বুট এবং লম্বা প্যান্ট পরতে হবে; রাতে চলাচলের সময় টর্চ লাইট ব্যবহার করতে হবে; বাড়ির চারপাশ পরিস্কার ও আবর্জনামুক্ত রাখতে হবে; জ্বালানি লাকড়ি, খড় সরানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে; সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করা যাবে না; প্রয়োজনে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করতে হবে বা নিকটস্থ বন বিভাগের অফিসকে জানাতে হবে।
সাপ কামড়ালে করণীয়
দংশিত অঙ্গ নড়াচড়া করা যাবে না; পায়ে দংশনে বসে পড়তে হবে, হাঁটা যাবে না; হাতে দংশনে হাত নড়াচাড়া করা যাবে না– হাত-পায়ের গিড়া নাড়াচাড়ায় মাংসপেশীর সংকোচনের ফলে বিষ দ্রুত রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে গিয়ে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে; আক্রান্ত স্থান সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছতে হবে; ঘড়ি, অলঙ্কার বা তাবিজ থাকলে খুলে ফেলতে হবে; দংশিত স্থানে কাঁটা, সুই ফোটানো কিংবা কোনোরকম প্রলেপ লাগানো যাবে না; সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না; যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যেতে হবে; আতঙ্কিত না হয়ে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গিয়ে অ্যান্টিভেনম নিতে হবে।
সাপ মারলে পরিবেশের উপর কী প্রভাব পড়বে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃতির অংশ হিসাবে সাপ মেরে ফেললে এর প্রভাব পড়বে পুরো বাস্তুচক্রে। ফসলি ক্ষেতে সাপ মারলে ইঁদুরের প্রভাব বাড়বে। সাধারণত প্রতি বছরই ১০ থেকে ২০ শতাংশ ফসল ইঁদুর নষ্ট করে। ফলে নির্বিচারে সাপ মারলে ইঁদুরের সংখ্যা বাড়বে। উৎপাদন কমে যাবে ফসলের।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মি. হোসাইন একুশে সংবাদকে বলেন,
`সাপ ব্যাঙ, ইঁদুর খায়। বেজি, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বনবিড়াল সাপ খায়। আবার শঙ্খচূড়, গোখরা, কেউটে এই সাপগুলোও রাসেলস ভাইপারসহ অন্য সাপ খায়। ফসলী খেতে সাপ ইঁদুর খায়। তারা ইঁদুর খেয়ে ফসলের উপকার করে। এভাবে যদি প্রচুর পরিমাণ সাপ মারা হয় তবে এক শ্রেণির শিকারি প্রাণী কমে যাবে। কারণ তখন ভবিষ্যতে ইঁদুর বেড়ে যাবে। সেগুলো ফসল খেয়ে নষ্ট করে ফেলবে। উৎপাদন কমে যাবে ফসলের। যেটা ফুড সাইকেলে প্রভাব ফেলবে। এভাবে সাপ মারলে ভবিষ্যতের জন্য অনেক ক্ষতি হবে``।
তিনি বলেন, ``ইকোসিস্টেমে সাপের যে রোল রয়েছে তার তো কোন রিপ্লেসমেন্ট করা যায় না। এই সিস্টেমের প্রতিটি প্রাণীর প্রভাব অপরটিকে প্রভাবিত করে। ফলে সাপের অভাবে টোটাল ফুড চেইনে প্রভাব পড়বে``।
সাপ কেন পরিবেশের জন্য উপকারী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় সাপের ভূমিকা অপরিসীম। বস্তুত সাপ প্রকৃতির বন্ধু এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য ও অত্যাবশ্যকীয় অংশ। বাস্তুতন্ত্রের শীর্ষস্থানীয় মাংসাশী প্রাণীদের মধ্যে সাপ অন্যতম।
`বাংলাদেশের সাপ ও সর্পদংশন প্রতিরোধ ও চিকিৎসা` নামের বইতে বলা হয়েছে, সাপ খুব অলস ও নিরীহ প্রাণী। সাপ মানুষকে ভয় পায়, ফলে মানুষকে দেখলে সাপ পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতে চায়। কিন্তু সাপের ওপর আক্রমণ হলে আত্মরক্ষার জন্য সাপ মানুষকে কামড় দেয়। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় সাপ অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করে।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :