আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১০০টি শতরান করতে হলে, বিরাট কোহলিকে সবার আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বর্জন করতে হবে। এমনটাই মনে করেন শোয়েব আখতার। `রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস`-এর পরামর্শ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট না খেলে টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে মন দিক কোহলি। তাহলে এনার্জি সঞ্চিত রাখতে পারবেন বিরাট। এনার্জি বাঁচিয়ে রেখে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেট বেশি করে খেললে শতরান আসবে। এমনটাই মনে করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিডস্টার।
শোয়েব বলছেন, "ক্রিকেটার হিসেবে যদি আমাকে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে বলব বিরাট যেন টেস্ট এবং ৫০ ওভারের ফরম্যাটেই খেলে। টি-টোয়েন্টিতে এনার্জি ক্ষয় হয় ওর। যদিও টি-টোয়েন্টিতে খেলতে পছন্দ করে কোহলি। কিন্তু ওর শরীরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কোহলির বয়স এখন ৩৪। ওর যা ফিটনেস, তাতে আরও ৬-৮ বছর খেলতে পারে বিরাট। যদি ৩০-৫০ টা টেস্ট ম্যাচ খেলে, তাহলে এই টেস্টগুলো থেকে ২৫টা শতরান কোহলি করতেই পারে।"
শোয়েব আরও যোগ করেন, "দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট চালিয়ে যেতে হলে ফিটনেস ও মানসিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ও খুবই শক্তিশালী। ক্রিকেট নিয়ে নিরন্তর চিন্তাভাবনাও করে কোহলি। একশোটি শতরানের মাইলস্টোন ছুঁতে হলে ওকে ফোকাসড থাকতে হবে। বিরাট কোহলি ও বাবর আজমের মধ্যে তুলনা বন্ধ হওয়া দরকার। দু’জনেই গ্রেট প্লেয়ার। এশিয়ায় কোহলি ও বাবরের থেকে আর বড় ক্রিকেটার কে আছে? কেউই নেই। দু’জনকে নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করা হয় নজর কাড়ার জন্য। এই ধরনের মন্তব্য করা বন্ধ হোক।"
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করার আগে ৪১টি ইনিংসে শতরান পাননি কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭৫টি শতরানের মালিক তিনি। ২৮টি টেস্ট শতরান কোহলির। আহমেদাবাদে শতরান করার আগে কোহলি টেস্ট ম্যাচে শেষ বার তিন অংকের করেছিলেন ইডেন গার্ডেন্সের গোলাপী বলের টেস্টে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই তাঁর কাছে তিন অংকের রান অধরা ছিল। তবে সেই অধরা মাধুরী তিনি অজিদের বিরুদ্ধে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির শেষ টেস্টে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন।
একুশে সংবাদ/আ/সম
আপনার মতামত লিখুন :