প্রায় দুই দশক ইউরোপ দাপিয়ে বেড়ানো ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে পা রেখেছেন। এদিকে, সৌদির ক্লাবটির সঙ্গে `সিআর সেভেন`-এর চুক্তি হতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ আল হিলাল।
শোনা যাচ্ছে বছরে ৪০ কোটি ইউরোর বেশি রেকর্ড অর্থে লিওনেল মেসিকে দলে নিতে চাইছে এই ক্লাব। দরাদরি করতে ইতিমধ্যেই নাকি রিয়াধে পৌঁছে গিয়েছেন মেসির বাবা জর্জ মেসি। যদিও আল হিলালের তরফ থেকে এখনও এই ইস্যু নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
পিএসজিতে মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ফুরোবে আগামী ৩০ জুন। এরপরই ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন। বার্সেলোনা তাঁকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এমনকি শোনা যাচ্ছে আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মিয়ামিও নাকি আগ্রহী আর্জেন্টাইন তারকাকে পেতে চাইছে। তবে সেই খবর ইতিমধ্যেই উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ মেসি।
গত মাসে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন মেসির বাবা জর্জ মেসি। তখন গুঞ্জন উঠেছিল, মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে আল হিলাল ক্লাবের প্রতিনিধিদের আলোচনা করতেই নাকি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা ও এজেন্ট। তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ তখন জানিয়েছিল, মেসির বাবার সৌদিতে যাওয়া সেই দেশের পর্যটন বোর্ডের আমন্ত্রণে। মেসি আগেই সৌদি পর্যটন বোর্ডের দূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তবে এরমধ্যেই আল হিলালের সঙ্গে মেসির সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে আলোচনা তুঙ্গে ওঠে। মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডো গত জানুয়ারিতে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসের ক্লাবে যোগ দেন। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলারকে দলে নিয়ে নিজেদের দেশের ফুটবলকে জমিয়ে দিতে চায় সৌদি আরব।
২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় সৌদি আরব। সেই জন্য বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের চেনানোর একটা প্রচেষ্টা তাদের থাকতেই পারে। রোনাল্ডোকে আল নাসের নেওয়ার পর থেকে বিশ্ব ফুটবলের কাছে একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এবার মেসি যদি রেকর্ড অর্থে আল হিলালে সই করে দেন, তাহলে আখেরে সৌদি আরবের ফুটবলের প্রচার আরও বাড়বে। সৌদি প্রো লিগে আল নাসের ও আল হিলালের দ্বৈরথকে `ক্লাসিকো` হিসেবে তুলনা করে থাকেন অনেকে। আল নাসেরে রোনাল্ডো তো আছেনই, এবার মেসি যদি আল হিলালে যোগ দেন তাহলে সেই দ্বৈরথের মাত্রা আরও বাড়বে। সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
একুশে সংবাদ.কম/আ/সম
আপনার মতামত লিখুন :