ফারেস ছাইবির শেষ মুহুর্তের গোলে দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব অ্যানেসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে বৃহস্পতিবার ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে পৌঁছেছে তুলুস। বেঞ্চ থেকে বদলি হিসেবে উঠে ম্যাচের ৮৫ তম মিনিটে জয়সুচক গোল করেন ২০ বছর বয়সি ছাইবি। এই জয়ে আগামী ২৯ এপ্রিল প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে নঁতের মুখোমুখি হবে তুলুস। গত বুধবার লিয়ঁকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল নঁতে।
গতকাল ম্যাচ শেষে ছাইবি সম্প্রচারক বি’ইন স্পোর্টসকে বলেন,‘ এটি আমার কাছে আজীবনের জন্য স্মরনীয় হয়ে থাকবে। এমন একটি প্রত্যাশা নিয়েই কোচ আমাকে বদলী হিসেবে মাঠে নামিয়েছিলেন । এখন স্তাদে ডি ফ্রান্সে খেলতে যাচ্ছি। আমরা খুবই খুশি।’
গত ১ মার্চ কোয়ার্টার ফাইনালে বিষ্ময়করভাবে মার্সেইকে হারিয়ে দেয়া লিগ টু-এর এই স্বাগতিক দলটি অবশ্য এর পর তিনটি ম্যাচেই পরাজিত হয়েছিল। সাড়ে ১৩ হাজার স্বাগতিক দর্শকের উপস্থিতিতেও প্রথম থেকেই তুলুসের বিপক্ষে ব্যাকফুটে ছিলো প্রমোটি ক্লাবটি।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ডাচ মিডফিল্ডার ব্রাঙ্কো ফন ডেন বুম্যানের যোগান থেকে গোল করে সফরকারীদের এগিয়ে দেন মরক্কান তারকা জাকারিয়া আবুখলাল। বুম্যানের ক্রসের বল নিচু হেডে স্বাগতিকদের জালে জড়ান তিনি। এটি ছিল কাপ টুর্নামেন্টে এই মৌসুমে তার চতুর্থ গোল।
তবে ইনজুরি টাইমে (৪৫+৪ মি.) পেনাল্টি থেকে গোলটি পরিশোধ করে দেন স্বাগতিক স্ট্রাইকার অ্যালেক্সি বোসেত্তি। বক্সে গাব্রিয়েল সুয়াজো তাকে ফেলে দিলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। স্পট থেকে নিখুঁত শটে গোল করেন ২৯ বছর বয়সি ওই তারকা।
বিরিতর পর ম্যাচের ২৫ মিনিট বাকী থাকতে ব্রাজিলীয় তারকা রাফায়েল রাতাওয়ের পরিবর্তিত হিসেবে ছাইবিকে মাঠে আনেন সফরকারী তুলুসের কোচ ফিলিপ মন্টানিয়ার। হতাশ করেননি তিনি। দ্বিতীয় বারের মতো সিনিয়র দলে খেলার সুযোগ পাওয়া ওই তারকা ম্যাচের ৮৫ তম মিনিটে গোল করে দলকে পৌঁছে দেন ফাইনালে।
দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে স্বাগতিকরা ভেবেছিল অতিরিক্ত সময়ে গড়াচ্ছে ম্যাচটি। এ সময় বদলী খেলোয়াড় মইচ সাহির ভলির সাহায্যে ৩০ মিটার দূর থেকে করা গোলটি বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।
বর্তমানে লিগ ওয়ানে পয়েন্ট তালিকার মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে তুলুস। ১৯৫৭ সালে শিরোপা জয়ের পর প্রথম ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে উঠেছে ক্লাবটি।
একুশে সংবাদ.কম/সম
আপনার মতামত লিখুন :