পাকিস্তানের হয়ে বেশকিছু স্মরণীয় জয় উপহার দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। এজন্য পাকিস্তানের সেরাদের সেরা তারকাও ভাবা হয় তাকে। তবে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডেও যেন সেরা তিনি!
সম্প্রতি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আবারো খবরের শিরোনাম হলেন আফ্রিদি। এবার বিতর্ক নিয়ে হাজির হয়েছেন খোদ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। তার দাবি, বাবর আজমকে পাকিস্তান ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে সরাতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি!
নাজাম শেঠির এই দাবির পর নতুন করে বিতর্ক তৈরি হলো পাকিস্তান ক্রিকেটে।
পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি বলেন, শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচক কমিটি বাবর আজমকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আফ্রিদিকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের জন্য পুরুষদের জাতীয় নির্বাচক কমিটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছিল।
নাজাম শেঠি একটি ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার সময় একটি অন্তর্বর্তী নির্বাচক কমিটি করেছিলাম। নির্বাচকরা বোর্ডে আসার আগে, তারা আমাদের বলেছিল যে কিছু পরিবর্তন করা দরকার এবং বাবরকেও অধিনায়ক হিসাবে প্রতিস্থাপন করা দরকার।’
তিনি আরো বলেন, ‘তবে নিয়োগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা বলেছিল বাবরের বদলির কোনও প্রয়োজন নেই। আমি তাদের বলেছিলাম যে, আপনারা আপনাদের মন পরিবর্তনের অধিকারী।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর শহীদ আফ্রিদি বৈঠকের জন্য সময় না পাওয়ায় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আফ্রিদির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন হারুন রশিদ।
নাজাম শেঠি জানান, ‘যতদিন বাবর একজন সফল ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক হিসেবে সফল হতে থাকবেন, ততদিনই তিনি অধিনায়ক থাকবেন। আপনি যদি সিরিজ হারতে থাকেন তবে লোকেরা আপনার অধিনায়কত্ব এবং অন্যান্য গুণাবলী নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করবে।’
গত সপ্তাহে, নাজাম শেঠি টুইটারে বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটানোর বার্তা দিয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লেখেন, ‘বাবর আজম আজ আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আমি তাকে বলেছিলাম যে সে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ও টি-২০ জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেবে এবং তারপরই স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। তাই যারা ভুয়া খবর ছড়াচ্ছিল তারা সকলেই আজ চাকরি হারাবে।’
একুশে সংবাদ.কম/ডে বা/সম
আপনার মতামত লিখুন :