বেঙ্গালুরুতে শুরু, রেশ পড়ল লখনউতে। বিরাট কোহলি বনাম গৌতম গম্ভীর বিতর্ক শেষ হয়নি এখনও। ঘটনার জন্য কে দায়ী! নানা জনের নানা মত। কেউ বা বলছেন, বিরাট কোহলি বাড়াবাড়ি করেছেন। কারও মতে গম্ভীরই শুরু করেছিলেন, ইট মারলে পাটকেল তো খেতেই হবে! দিল্লি ক্য়াপিটালসের সহকারী কোচ শেন ওয়াটসনও কি গৌতম গম্ভীরকেই দায়ী করলেন? তাঁর মন্তব্যে এমনই মনে হওয়ার কথা।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরসিবির বিরুদ্ধে বিশাল রান তাড়া করে শেষ বলে জিতেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে লখনউ শিবির। প্লেয়ারদের পাশাপাশি উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেননি তাঁদের মেন্টর গৌতম গম্ভীরও। আরসিবি ডাগ আউটের দিকে ‘চুপ’ ইঙ্গিত করেন। সে সময় চুপ করেই ছিল আরসিবি শিবির। তবে ঘটনাটি মনে জমিয়ে রাখা ছিল। ফিরতি ম্য়াচে প্রতিশোধ নেওয়ার পরই বিতর্ক।
লখনউয়ের মাঠে মাত্র ১২৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে এই স্কোর নিয়েও ১৮ রানে জিতেছিল আরসিবি। ম্য়াচের মাঝে গ্য়ালারিতে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা এবং আরসিবি সমর্থকদের যেমন ফ্লাইং কিস দেন, তেমনই বেশ কিছু মুহূর্তে লখনউ ডাগ আউটের দিকে গম্ভীরের সেই ‘চুপ’-এর জবাবও দেন। বিতর্ক বাঁধে ম্য়াচের পর। লখনউ ওপেনার কাইল মেয়ার্স বিরাট কোহলির থেকে পরামর্শ নিচ্ছিলেন। কিন্তু মেয়ার্সকে সেখান থেকে টেনে নিয়ে যান লখনউ মেন্টর। এরপর বিরাট-গম্ভীর ফের কথার লড়াই। দু-জনে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বিতর্ক চালিয়ে যান। লোকেশ রাহুল, ক্রুনাল পান্ডিয়ারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
দিল্লি ক্য়াপিটালসের সহকারী কোচ শেন ওয়াটসন একটি পডকাস্টে বলেছেন, ‘মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুবই ভালো বিষয়। প্লেয়ারদের মধ্যে থেকে সেরাটা বেরিয়ে আসে। খেলার প্রতি তাগিদ, ফোকাসও বাড়ে।’ এর পরই যোগ করলেন, ‘কিন্তু সেই ঘটনার রেশ যেন ম্যাচের বাইরে না থেকে। মাঠের বিষয় মাঠেই রেখে আসা উচিত। মাঠে লড়াই করা জরুরি কেন না, সবাই জিততে চায়। নিজের সেরাটা দিতে চায়। ম্য়াচ শেষ, লড়াইটা ভুলে এগিয়ে যাও।’ বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীর নিয়ে সরাসরি বলেন, ‘বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীরের মধ্যে যা হয়েছে, সেটা কাম্য নয়। সবচেয়ে বড় কথা, গৌতম গম্ভীর তো খেলছিল না!’ একটা দলের মেন্টর হিসেবে গৌতম গম্ভীরের সংযত থাকা উচিত ছিল বলেই হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন ওয়াটসন।
একুশে সংবাদ.কম/সম
আপনার মতামত লিখুন :