তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালোভাবেই লড়ছে আয়ারল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও এরপর স্টার্লিং ও বালবির্নির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় আইরিশরা। তবে বালবির্নিকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি এনেছেন এবাদত।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২৮ ওভারে দুই উইকেটে ১৩৫ রান। প্রথমে ব্যাট করে ৪৮.৫ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে ২৭৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন পল স্টার্লিং ও স্টিফেন দোহেনি। প্রথম ৫ ওভার নির্বিঘ্নে কাটান দুজন। ষষ্ঠ ওভারে আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার বলে স্লিপে লিটন দাসের তালুবন্দী হওয়ার আগে ৪ রান করেন দোহেনি।
শুরুর ধাক্কা সামলে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন পল স্টার্লিং ও অ্যান্ড্রু বালবির্নি। রানের চাকা সচল রেখে নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েছেন দুজন।
স্টার্লিং ও বালবির্নির ব্যাটে রান তাড়ায় ভালোভাবেই এগোচ্ছে আয়ারলান্ড। দুজন অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ৩১ ও ২৪ রানে।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি। আজ তিন পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে টাইগাররা। যেখানে অভিষেক হয়েছে রনি তালুকদার ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির।
তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন অভিষিক্ত রনি তালুকদার। শুরু থেকেই বেশ নার্ভাস ছিলেন রনি। চাপ থেকে বেরোতে মার্ক আদাইরকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেটের পিছে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ বলে ৪ রান করেন এ ব্যাটার।
শুরুর ধাক্কাটা বুঝতে দেননি তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের ব্যাটে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল টাইগাররা। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। দলীয় ৬৭ রানে স্লিপে বালবির্নির হাতে ধরা পড়েন শান্ত। ক্রেইগ ইয়ংয়ের কাছে পরাস্ত হওয়ার আগে ৩২ বলে ৩৫ রান করেন তিনি।
শান্তর সমান ৩৫ রান করে ফেরেন লিটন দাসও। এর আগে তামিমের সঙ্গে গড়েন ৭০ রানের জুটি। অন্যপ্রান্তে সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মাঝে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন তামিম। জশ লিটলের ডেলিভারিতে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৬১ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি।
তামিম ফিফটি পূরণ করার পরের ওভারেই ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। জর্জ ডকরেলকে ব্যাকফুটে কাট করতে গিয়ে লাইন-লেন্থ মিস করে বোল্ড হন এ ব্যাটার। এর আগে ১৬ বলে ১৩ রান করেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ৬৯ রানে তামিম ফিরলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে পরিস্থিতি ভালোই সামাল দেন। দুজনের ব্যাটে ভর করে ৩০০ রানের দিকে এগোতে থাকে টাইগাররা। ইনিংসের শেষ দিকে ৪৫ রানে মুশফিক ফিরলে ভাঙে মিরাজের সঙ্গে তার ৭৫ রানের জুটি। পরের ওভারে আউট হন ৩৭ রান করা মিরাজ।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে মার্ক আদাইর ৪টি, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন ও জর্জ ডকরেল দুটি এবং ক্রেইগ ইয়ং একটি করে উইকেট শিকার করেন।
একুশে সংবাদ.কম/সম
আপনার মতামত লিখুন :