ইংল্যান্ডের সিনিয়র ক্রিকেট দল টেস্ট ক্রিকেট খেলার ধরনটাকেই বদলে দিয়েছে। সাদা বলের ফর্ম্যাটের স্টাইলে রীতিমতো লাল বলের ক্রিকেটে খেলছেন তারা। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাই শুধু নয় রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ ক্রিকেট খেলছেন তারা। আর তাতে সাফল্যও আসছে তাদের।
সাদা জার্সিতে তাদের নয়া কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই এই আমূল পরবর্তন এসেছে দলের ক্রিকেটারদের মানসিকতাতে। তাঁর নাম অনুসারে এই ধরনের আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের পোশাকি নামও দেওয়া হয়েছে ‘ব্যাজবল’ ক্রিকেটে। আর টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতেই নানা উপায়ে যে তাঁকে আরও উপভোগ্য করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে সে কথা জানিয়ে দিলেন ইংল্যান্ড সিনিয়র টেস্ট দলের অন্যতম কোচিং স্টাফ পল কলিংউড।
চলতি অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। এজবাস্টনে ইতিমধ্যেই তৃতীয় দিনের খেলা চলছে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই এমন মন্তব্য করেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক পল কলিংউড। উল্লেখ্য দলে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সহকারী তিনি। অর্থাৎ দলের সহকারী কোচের ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। শনিবারের খেলা শেষে তাঁর দলকেই টেস্ট ক্রিকেটের রক্ষা কর্তা হিসেবে তুলে ধরেন পল কলিংউড। ‘ব্যাজবল’ পদ্ধতিতে টেস্ট খেলে টেস্টকে উপভোগ্য করাই তাঁদের লক্ষ্য সে কথা স্পষ্টও করে দিয়েছেন তিনি।
পল কলিংউড বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি টেস্ট ক্রিকেটকে উপভোগ্য করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা যদি সেটা করতে না পারি তাহলে হয়তো টেস্ট ক্রিকেটকে আমরা বাঁচাতে পারব না। টেস্ট দল হিসেবে আমাদের ভিশন শুধুমাত্র ম্যাচ জেতা নয়। অস্ট্রেলিয়া তাদের যেমন পরিকল্পনা সেই অনুযায়ী খেলবে। আর আমরা খেলব আমাদের পরিকল্পনামত। প্রথম দুইদিন (এজবাস্টন টেস্টে) আমরা যেভাবে খেলেছি তাই নিয়ে আমরা যথেষ্ট খুশি। আমরা ফিল্ডিং খুব আক্রমণাত্মকভাবেই করব। ওঁরা যাতে সহজে সিঙ্গেলস নিতে না পারে সেটা দেখব। অজিদের উপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা করব। বিভিন্ন উপায়ে আমরা উইকেট তুলে নেওয়ার চেষ্টা করব। পাকিস্তানের মতন জায়গায় আমরা বেশ কিছু স্লো উইকেটে খেলেছি। সেখানে ও আমরা ২০টা উইকেট নেওয়ার পথ খুঁজে নিয়েছি। এটাই আমাদের শক্তি। আর তাতেই আমরা ভরসা রাখব।’
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :