দীর্ঘদিন ধরে ইংল্যান্ড দলের হয়ে খেলছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। অনেক ম্যাচ নিজের বোলিং দাপটে দলকে জিতিয়েছেন। অনেক অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই বাজিমাত করে চলেছেন এই পেসার। এবারও ঠিত তেমনটাই হয়েছে। এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেনে। এবং দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও পর্যন্ত ২ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। ইতিমধ্যেই ৫ উইকেট নিয়ে নিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে মার্নাস ল্যাবুশানে, ডেভিড ওয়ার্নারের মতো হেভিওয়েট ক্রিকেটারদের উইকেট।
এই মুহূর্তে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ইংল্যান্ডের এই পেসার। তবে এই পেসারের পায়ে বল লেগে রক্তাক্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যা হয়ত কেউই জানতেন না। অজানা গল্প সামনে এনেছেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসের হোসেন। ডেইলি মেইলে লেখা কলমে প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক লিখেছেন, `ব্রড এমন একজন ক্রিকেটার যে দলের জন্য নিজের সেরাটা সব সময় উজাড় করে দিয়েছে। যখনই প্রয়োজন পড়েছে তখনই রুখে দাঁড়িয়েছে।`
এখানেই থেমে থাকেননি প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তিনি ব্রডের প্রশংসা করে আরও বলেন, `যখন পরপর দুই বল এসে ওর পায়ে লাগল, তখনই আমি বুঝতে পারি, ওর ভালো চোট লেগেছে। কিন্তু ও থেমে থাকেনি। এমনকী সেই নিয়ে পরে আরও এক ওভার বল করে ও। ব্রডের চোখ মুখ দেখে বোঝার উপায় ছিল না ওর চোট লেগেছে। ও যে কতটা দায়বদ্ধ তা বোঝা গিয়েছে। তবে ম্যাচের পর ও যখন আমার কাছে এল, তখন বুঝতে পারলাম চোটট কতটা লেগেছে। বুট হাতে নিয়ে খালি পায়ে এগিয়ে আসে আমার দিকে। সারা পায়ে রক্ত। যে ব্যান্ডেজ করা ছিল, সেখান থেকেও রক্ত পড়তে থাকে। এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল। আমি সত্যি অবাক হয়ে যাই। ওর এই দায়বদ্ধতা দেখে আমি সত্যি অবাক হয়েছি।`
এই অ্যাশেজের দল গঠনের আগে একটা সময় মনে করা হয়েছিল ব্রডকে সম্ভবত নেওয়া হবে না। কিন্তু এই অভিজ্ঞ পেসারকে দলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ইসিবি। এই পেসারকে না রাখতে ইংল্যান্ডকে যে ভুগতে হত তা মনে করছেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। তিনি বলেন, `এটা ব্রডের নবম অ্যাশেজ। সম্ভবত ব্রডের শেষ অ্যাশেজ। কারণ এই মুহূর্তে ওর বয়স ৩৬ হয়ে গিয়েছে। ফলে একজন পেসারের পক্ষে দীর্ঘ কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন কাজ। তবে আমার ধারণা এটা যদি ব্রডের শেষ অ্যাশেজ হয় তাহলে অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ব্রডও ঠিক তেমনটাই চাইবে।`
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :