২০২৭ বিশ্বকাপের পরে পুরুষদের দ্বিপাক্ষিক ওডিআই ক্রিকেট কমানোর পরামর্শ দিয়েছে এমসিসি। এমনিতেই এই ফর্ম্যাট নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এমসিসির ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি চলতি অ্যাশেজ টেস্টের ফাঁকে লর্ডসে মিলিত হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ওয়ান ডে ক্রিকেটের সংখ্যা কমানো হোক। এতে নিঃসন্দেহে জৌলুস হারাবে ওডিআই ক্রিকেট।
আসলে এখন বিশ্ব জুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের রমরমা। অনেক ক্রিকেটারই তড়িঘড়ি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নাম লেখাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে ওডিআই কমে গেলে ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে অনেকটা জায়গা ফাঁকা হবে। এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার বেশি সুযোগ পেলে, ক্রিকেটাররাও হয়তো তড়িঘড়ি অবসরের সিদ্ধান্ত নেবেন না।
জেসন রয়ই যেমন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেট লিগ (এমএলসি) খেলার জন্য ইংল্যান্ডের সঙ্গে তাঁর বর্ধিত চুক্তির একটি অংশ অগ্রাহ্য করছেন। ট্রেন্ট বোল্ট গত বছর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তাঁর কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বের হয়ে এসেছিলেন। এবং আইপিএল তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমগুলিকে অন্যান্য লিগেও দল কেনার সঙ্গে দুই মাসের উইন্ডোতে প্রসারিত করেছে, যার ফলে খেলোয়াড়দের বছরব্যাপী টি-টোয়েন্টি চুক্তির অফার করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইক গ্যাটিং এর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের কমিটি আশা করছে যে, ‘ওডিআই ক্রিকেটের সংখ্য়া কমলে, তার মান আরও বাড়বে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ওডিআই ক্রিকেট সরিয়ে দেওয়া যেতে পারে। প্রতিটি বিশ্বকাপের এক বছর আগে থেকে ওডিআই সিরিজ করা যেতে পারে। এতে ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে জায়গা তৈরি হবে। যেটা কার্যকরী ভাবে কাজে লাগানো যাবে।’ প্রসঙ্গত, এই কমিটিতে রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ইয়ন মর্গ্যান, ঝুলন গোস্বামীর মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।
এমসিসি প্যানেল অতিরিক্ত ভাবেই টেস্ট ক্রিকেটকে সুরক্ষিত রাখতে এবং মহিলাদের ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করতে কৌশলগত তহবিল বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে। কমিটি দেশগুলির মধ্যে উদীয়মান বৈষম্যের উপর জোর দিয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্তমান ব্যবস্থাটি প্রভাবশালী দলগুলিকেই ব্যাপক ভাবে সমর্থন করে। এর ফলে সম্ভাব্য ভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সামগ্রিক বিকাশ এবং সুবিধা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
এমসিসি-র বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘কমিটি ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বাইরের দেশগুলিতে টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখার বিষয় নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।’ মোদ্দা কথা, টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তার মাঝে ক্রিকেটের অন্য ফরম্যাটগুলো এখন যেন ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :