অনুষ্ঠানটি ছিল জিমন্যাস্টিকসের। এরপরও আলাদা করে আলো কাড়লেন নারী বক্সার জিনাত ফেরদৌস। আজ বৃহস্পতিবার দুপরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরনো ভবনের জিমনেসিয়ামে জুনিয়র জিমন্যাস্টকিসদের আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন। সেখানেই আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আসেন জিনাত। আগামী সেপ্টেম্বরে চীনের হাংঝুতে হবে এশিয়ান গেমস। এই এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা ২৯ বছর বয়সী জিনাতের।
জিনাতের জন্ম নিউইয়র্কে। কিন্তু তাঁর শরীরে বইছে বাংলাদেশের রক্ত। জিনাতের বাবার বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জে। মায়ের বাড়ি পাবনায়। ১৯৮৭ সালে এই দম্পতি পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা জিনাতের।
এবারই প্রথম বাংলাদেশে আসেননি জিনাত। তবে প্রথমবার এসেছেন খেলার উদ্দেশ্যে। উচ্ছ্বসিত জিনাত বলছিলেন, ‘আমি ষষ্ঠবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি। এবারই অবশ্য খেলার জন্য ঢাকায় আসা।’
বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগটা কিভাবে হলো? প্রশ্নটা করতেই হেসে বললেন, ‘সঠিক সময়ে সঠিক লোকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। মামুন আঙ্কেল (বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সভাপতি শেখ বশির আহমেদ) এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন আমাকে।’
জিনাত খেলেন ৫০ কেজি ওজন শ্রেণীতে। নিউইয়র্ক রিজিওনের চ্যাম্পিয়ন বলে দাবি করলেন তিনি, ‘আমি নিউইয়র্ক অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন।’
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রবাসী অ্যাথলেট এবারই প্রথম নয়। এর আগে জিমন্যাস্টিকসে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাইক সিজার এসেছেন। ফুটবলে ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূইয়া, ফিনল্যান্ডের তারিক কাজী, লন্ডনপ্রবাসী সাঁতারু জুনাইনা আহমেদ, অ্যাথলেট ইমরানুর রহমান খেলছেন বাংলাদেশের হয়ে। সেই ধারবাহিকতায় এবার নাম লেখাতে চান জিনাত, ‘আমি বাংলাদেশকে গর্বিত করতে চাই। জিমন্যাস্টিকসে অলিম্পিকে খেলেছে সাইক সিজার। আমিও অলিম্পিকে খেলতে চাই। আমার স্বপ্ন বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরা।’
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :