অন্য সকল সাধারণ বাচ্চাদের মতো নয়। তাদের বাক ও শ্রবণশক্তি নেই। সবাই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। অটিস্টিক বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু হিসেবে সমাজে তারা পরিচিত। কিন্তু একজন সুস্থ ও সবল বাচ্চারা যা করতে পারেননি তারাই সেটােই করে দেখিয়েছেন। এ সকল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাই এবার স্পেশাল অলিম্পিকে দেশকে এনে দিলেন স্বর্ণপদক।
এ চারজন হলেন মৌলভীবাজারের মাহিমা আক্তার, তানিয়া আক্তার সুমাইয়া, রিয়া রানী দাশ ও মহিমা খাতুন মীম। এই চার মেয়ের স্নায়বিক শক্তি প্রচন্ড।
জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিকের তিনটি ইভেন্টে নিজেদের অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তারা। যার মাধ্যমে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে দু’হাত ভরে সাফল্য নিয়ে এসেছেন।
মেয়েদের এফ ওয়ান ফ্রিস্টাইলে দলীয়ভাবে স্বর্ণ জেতেন মাহিমা আক্তার এবং তিন সহযোগী প্রতিযোগি। সুমাইয়া স্বর্ণ জিতেছেন ১০০ মিটার দৌড়ে। এছাড়া থ্রি-সেভেন এ সাইড ফুটবলের ফাইনালে শক্তিশালী ইসরায়েলকে হারায় বাংলাদেশ। স্বর্ণজয়ী সেই দলে ছিলেন জেলার দুই প্রতিযোগী রিয়া রানী ও মহিমা খাতুন।
গত ১৭-২৫ জুন পর্যন্ত বার্লিনে অনুষ্ঠিত এই অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে ৭৯ জন খেলোয়াড় অংশ নেন। তাদের মধ্যে ছিলেন মৌলভীবাজারের চার অ্যাথলেট।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :