ম্যানচেষ্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিন বিধ্বংসী সেঞ্চুরি হাঁকান ইংল্যান্ডের ওপেনার জ্যাক ক্রলি। ১৭ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। এই ১৭ ইনিংসে সেঞ্চুরিবিহীন থাকার কারনে ইংল্যান্ডের অন্য কোন সেট আপ হলে দল থেকেই বাদ পড়তেন বলে মনে করেন ক্রলি। তার মতে, কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকস আস্থা রেখেছিলেন বলেই দলকে দারুন এক সেঞ্চুরি উপহার দিতে পারলেন ক্রলি।
টেস্টের দ্বিতীয় দিন অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ৩১৭ রানে শেষ হবার পর ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। বেন ডাকেটকে নিয়ে দলের হয়ে ইনিংস শুরু করেন ক্রলি। ডাকেট ১ রানে থামলেও ৯৩ বলে ৩৮তম টেস্টে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন ক্রলি। সেঞ্চুরি করেও দমে যাননি তিনি। দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী ছিলেন এই ডান-হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১৮৯ রানে আউট হন ক্রলি। তার ১৮২ বলের ইনিংসে ২১টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো। ক্রলি সেঞ্চুরিতে দিন শেষে ৪ উইকেটে ৩৮৪ রান তুলে ৬৭ রানে এগিয়ে থাকে ইংল্যান্ড।
দীর্ঘ দিন ধরে বড় ইনিংস খেলতে না পারায় অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের একাদশে তার সুযোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। কিন্তু ক্রলির উপর আস্থা রেখেছেন ম্যাককালাম ও স্টোকস। ‘বাজবল’ যুগে স্টোকস ও জো রুটের সাথে দলের অন্যতম ব্যাটার হিসেবে বিবেচনা করা হতো ক্রলিকে। অ্যাশেজে প্রথম সেঞ্চুরির মাধ্যমে তাদের সমর্থনের আস্থার প্রতিদান দেন ক্রলি।
চলমান সিরিজে ৭ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৮৫ রানের মালিক এখন কেন্টের ক্রলি। তিনি বলেন, ‘তারা সবসময় ধারাবাহিকতা বিষয়ে চিন্তা না করতে বলে আসছে। মাঠে গিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে ম্যাচ জয়ের চেষ্টা করতে হবে। আমি শুধুমাত্র আমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করেছিলাম।’
দ্বিতীয় উইকেটে মঈন আলির সাথে ১৫২ বলে ১২১ ও তৃতীয় উইকেটে জো রুটের সাথে ১৮৬ বলে ২০৬ রানের জুটি গড়েন ক্রলি। ৩৮ টেস্টে চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পান ক্রলি। দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পথে ভাগ্যের সহায়তাও পান তিনি। ক্রলি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি ভাগ্যে বড় বিশ্বাসী। আমি যদি কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পাই তখন আমি মনে করি, এটিই আজকের দিনের সৌভাগ্য। আমি এটা মনে করি না, আমি সুযোগ নষ্ট করেছি।’
সিরিজের প্রথম তিন টেস্টে ৩৩ থেকে ৬১ এরমধ্যে ছয় ইনিংস খেলেন ক্রলি। খুব বেশি খারাপ না করলে, নিজেকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি।
ক্রলি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্ত নিয়ে ভাবনার চেয়ে স্কোর নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত ছিলাম। বাজ (ম্যাককালাম) সবসময় বর্তমান নিয়ে ভাবতে বলেছেন। খেলার আগে বড় স্কোর করার চিন্তার করার চেয়ে বরং আমি বর্তমান নিয়েই ভাবছিলাম এবং এটি আমাকে বড় স্কোর পেতে সহায়তা করেছে।’
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :