জসপ্রীত বুমরাহ এখনও স্ট্রেস ফ্র্যাকচার থেকে সেরে উঠছেন, মহম্মদ শামিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এবং ইশান্ত শর্মার আধা-অবসরে চলে গিয়েছেন। সিনিয়র পেসারদের অনুপস্থিতিতে মহম্মদ সিরাজ তার দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। তিনি তাঁর ২১তম টেস্টে একেবারে আগুন ঝরিয়েছেন।
রবিবার সিরাজ দেখিয়ে দিয়েছেন কেন টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর উপর ভরসা করেছেন। এমন একটি পিচে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্ট হচ্ছে, যেখানে সিমাররা বিশেষ সুবিধে পাবেন না। অথচ সেই পিচেই ২৯ বছরের তারকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে নিজের পরিকল্পনাকে ভালো ভাবে কাজে লাগিয়ে ৬০ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর সিরাজ বলেছেন, ‘আমি আমার পরিকল্পনা সুন্দর ভাবে কার্যকর করেছি, বিশেষ করে যখন এটা রিভার্স করতে শুরু করে। পিচে কিছু ছিল না, আমি স্টাম্প থেকে স্টাম্পে বল করার পরিকল্পনা করেছি। পাশাপাশি তাদের সহজে রান করতে না দেওয়া এবং পুরো বিষয়টাই সহজ রাখার পরিকল্পনা ছিল।’
সিনিয়ররা না থাকায়, পেস বোলিংয়ের দায়িত্ব পুরোটাই সিরাজের ঘাড়ে রয়েছে। তিনি তাই বলেছেন, ‘আমি দায়িত্ব উপভোগ করি। কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে মাঠে বল করাটা আমাকে অতিরিক্ত অনুপ্রেরণা দেয় এবং এটি চ্যালেঞ্জিংও। আর আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পছন্দ করি।’
সিরাজ তাঁর দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব ভারতের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেশাইকে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, এমন আর্দ্র অবস্থায় বল করা সহজ ছিল না। সিরাজ বলেছেন, ‘সমতল ট্র্যাকে পাঁচ উইকেট নেওয়া সহজ নয়। কৃতিত্ব সোহম (দেশাই) ভাইকে দেব, যিনি আমার ফিটনেস নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমি ক্রমাগত ম্যাচ খেলছি এবং তিনি আমাকে ফিট থাকতে সাহায্য করেছেন।’
সিরাজ আরও বলেছেন, ‘আবহাওয়া বেশ গরম ছিল। এবং বৃষ্টির কারণে আর্দ্রতা বেশি ছিল। বৃষ্টি হওয়ায় খেলা বন্ধও থাকছিল। এই পরিস্থিতিতে একজন ফাস্ট বোলারের পক্ষে নিজেকে চাঙ্গা রাখাটা কঠিন। এমন অবস্থায় লম্বা স্পেল বোলিং করাও সহজ নয়।’
চতুর্থ দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোর ৩২ ওভারে ২ উইকেটে ৭৬ রান। জিততে ক্যারিবিয়ানদের আরও ২৮৯ রান দরকার। ভারতের চাই ৮ উইকেট। ক্রিজে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার চন্দ্রপল (অপরাজিত ২৪) এবং ব্ল্যাকউড (২০ অপরাজিত)। ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে উইন্ডিজের ২ উইকেটই রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিয়েছেন। সিরাজ মনে করেন, পঞ্চম দিনে অশ্বিন কাঁপাবেন, কারণ বল ঘুরতে শুরু করেছে।
তাঁর দাবি, ‘যে ভাবে বল ঘুরছে, আমার মনে হয় অ্যাশ (অশ্বিন) ভাই ওদের অলআউট করে দেবে।’ পাশাপাশি সিরাজ অভিষেক হওয়া মুকেশ কুমারেরও বিশেষ প্রশংসা করেছেন। সিরাজ বলেছেন, ‘মুকেশ নতুন খেলোয়াড় নয়। রঞ্জি ট্রফিতে কঠিন উইকেটে ভালো করেছে ও। রঞ্জি ট্রফিতে উইকেট নেওয়া সহজ নয়। কারণ বেশির ভাগ সময়ে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলতে হয়। মুকেশ ব্যতিক্রমী ভাবে ওর স্নায়ু নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং ও ওর পরিকল্পনাগুলি সুন্দর ভাবে কার্যকর করেছে।’
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :