আইপিএলের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের পুরস্কার হিসেবে এবছর শুভমন গিলের হাতে ওঠে ১০ লক্ষ টাকা ও সুদৃশ্য ট্রফি। তবে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারকে এমন এক অভিনব পুরস্কার দেওয়া হয় গ্লোবাল টি-২০ কানাডায়, যার কথা বিসিসিআইয়ের পক্ষে ভাবা মুশকিল। সন্দেহ নেই আর্থিক মূল্যে এই একটি পুরস্কারেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগকে দূরে ছুঁড়ে ফেলে কানাডার ঘরোয়া টি-২০ লিগ।
এবছর গ্লোবাল টি-২০ কানাডার ম্যান অফ দ্য সিরিজ হয়ে শেরফান রাদারফোর্ড পুরস্কার পেলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাফ একর জমি। অর্থাৎ কানাডার ঘরোয়া টি-২০ লিগের সেরা ক্রিকেটার হয়ে ক্যারিবিয়ান তারকা আমেরিকায় হাফ একর জমির মালিক হয়ে গেলেন।
রাদারফোর্ড সেই সঙ্গে জিতে নিয়েছেন ফাইনালের ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারও। সেই পুরস্কারের জন্য তাঁর হাতে ওঠে ১ হাজার মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমান ৮০ হাজার টাকার বেশি। উল্লেখ্য, আইপিএলে ফাইনালের সেরা ক্রিকেটারকে দেওয়া হয় ৫ লক্ষ টাকা।
শেরফান জিতেছেন ম্যান অফ দ্য মোমেন্ট পুরস্কারও। যার সুবাদে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকে ৫০০ মার্কিন ডলার। ফ্লিপ চ্যালেঞ্জ উইনারের পুরস্কার জিতে ১ হাজার কানাডিয়ান ডলার পকেটে পোরেন রাদারফোর্ড, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৬০ হাজার টাকার বেশি। সুতরাং, গ্লোবাল টি-২০ কানাডা থেকে পারিশ্রমিক ছাড়াও দু`হাত ভরে পুরস্কার জিতলেন ক্যারিবিয়ান তারকা।
কোন কোন পুরস্কার জিতলেন রাদারফোর্ড:-
১. ম্যান অফ দ্য সিরিজ- আমেরিকায় হাফ একর জমি।
২. ম্যান অফ দ্য ফাইনাল ম্যাচ- ১০০০ মার্কিন ডলার।
৩. ম্যান অফ দ্য মোমেন্ট- ৫০০ মার্কিন ডলার।
৪. ফ্লিপ চ্যালেঞ্জ উইনার- ১০০০ কানাডিয়ান ডলার।
সারে জাগুয়ার্স বনাম মন্ট্রিয়াল টাইগার্স ফাইনাল ম্যাচের ফলাফল:-
গ্লোবাল টি-২০ কানাডার ফাইনালে শেষ বলের থ্রিলারে সারে জাগুয়ার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মন্ট্রিয়াল টাইগার্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে জাগুয়ার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৩০ রান তোলে। যতীন্দর সিং ৫৬, মহম্মদ হ্যারিস ২৩, লিটন দাস ১২, ইফতিকার আহমেদ ৮, আয়ান খান ২৬ ও ম্যাথিউ ফোর্ড ১ রান করেন। আন্দ্রে রাসেল ৪ ওভারে ২৪ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগার্স ম্যাচের একেবারে শেষ বলে জয় তুলে নেয়। তারা ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে। রাদারফোর্ড ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। আন্দ্রে রাসেল ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬ বলে ২০ রান করে নট-আউট থাকেন।
৪ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন ইফতিকার। ব্যাটে-বলে সফল রাসেলকে টপকে ম্যাচের সেরা হন রাদারফোর্ড। টুর্নামেন্টে সাকুল্যে ২২০ রান সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জেতেন শেরফান।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :