দুই ব্যাটার উইল ইয়ং ও মার্ক চাপম্যানের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। গতরাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ৩২ রানে হারিয়েছে আরব আমিরাতকে। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ১৯ রানে জিতেছিলো নিউজিল্যান্ড। পরেরটি ৭ উইকেটে জিতে ইতিহাস গড়ে সিরিজে সমতা এনেছিলো আরব আমিরাত।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগ পায় নিউজিল্যান্ড। ওপেনারদের ব্যর্থতায় ৩৫ রানেই ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা। চ্যাড বোয়েস ৯ ও টিম সেইফার্ট ১৩ রানে ফিরেন। এরপর তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ইয়ং ও চাপম্যান। এতে ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৮ রান পায় নিউজিল্যান্ড।
৪০ বলে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া ইয়ং নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৬ বলে ৫৬ রান করে আউট হন তিনি।
ইয়ং ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন চাপম্যান। ৩০ বলে টি-টোয়েন্টিতে সপ্তম অর্ধশতক পূর্ণ করেই থামেন চাপম্যান। ৩২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রান করেন তিনি। ইয়ং-চাপম্যান দু’জনই শিকার হন আমিরাত পেসার জুনায়েদ সিদ্দিকির।
শেষদিকে ডিন ফক্সক্রফটের ১০ ও মিচেল স্যান্টনারের ১১ বলে অপরাজিত ২০ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। আমিরাতের জুনায়েদ ৩ উইকেট নেন।
জবাবে টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই খাদের কিনারায় পড়ে যায় আরব আমিরাত। এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন বাসিল হামিদ ও আয়ান আফজাল খান। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়েন তারা।
কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে ৫৭ বলে ৬৮ রান তুলেও আরব আমিরাতকে লড়াইয়ে রাখতে পারেননি বাসিল ও আফজাল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৪ রান করে ম্যাচ হারে আরব আমিরাত।
৪টি চার ও ১টি ছক্কায় আফজাল ৩৬ বলে ৪২ রান করে আউট হন। ২৮ বলে ২৪ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন বাসিল। নিউজিল্যান্ডের বেন লিষ্টার ৩ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ইয়ং। সিরিজ সেরা হন চাপম্যান।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :