AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ইতিহাস গড়ে সার্বিয়ায় ফিরলেন জোকার


Ekushey Sangbad
স্পোর্টস ডেস্ক
০৬:৩০ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
ইতিহাস গড়ে সার্বিয়ায় ফিরলেন জোকার

জোকোভিচ ইউএস ওপেনের ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন জুতোয় ২৩ নম্বর লিখে। তাঁর গ্র্যান্ড স্ল্যামের সংখ্যা ২৩। সেটাই লেখা ছিল নীল রঙের জুতোয়। মেদভেদেভকে ফাইনালে ৬-৩, ৭-৬ (৭-৫), ৬-৩ গেমে হারিয়ে জোকোভিচ পরলেন পিঠে ২৪ লেখা একটি টিশার্ট। সামনে নিজের এবং প্রয়াত বাস্কেটবল খেলোয়াড় কোবি ব্রায়ান্টের ছবি। আমেরিকার বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের ছিল ২৪ নম্বর জার্সি। 

 

আমেরিকার মাটিতে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে জোকোভিচ স্মরণ করলেন তাঁর বন্ধুকে। ২০২০ সালে কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়েছিল কোবির হেলিকপ্টার। ৪১ বছর বয়সে সেই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন কোবি।


২৪তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড করার পর শিশুর মতো মায়ের আদর খাওয়া বা কন্যাকে কোলে নিয়ে আবেগে ভাসা, কখনও চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়া, কখনও আবার আনন্দ-উচ্ছ্বাসে আত্মহারা হওয়া- এই সমস্তটাই দেখে ফেলেছে গোটা বিশ্ব। তবে জোকারের আবেগের বিস্ফোরণ যে তাতেও থামেনি। তখনও বাকি ছিল। জমে ছিল মনের কোণে। ইউএস ওপেনে জয়ের পর নোভাক জোকোভিচ তাঁর নিজের শহর বেলগ্রেডে ফিরতেই, যে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন, তাতে ফের আবেগে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তিনি।

 

৩৬ বছরের সার্বিয়ান তারকাকে বেলগ্রেডের সিটি হলের সামনে হাজার হাজার ভক্ত স্বাগত জানান। তাঁরা সকলে জোকারের জন্য ছিলেন গর্বিত। সেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ফিবা বিশ্বকাপে রৌপ্য পদক জয়ী সার্বিয়ার জাতীয় বাস্কেটবল দলের সদস্যরাও। জোকোভিচকে একটি বড় পর্দায় দেখা যাচ্ছিল। তাঁর জন্য এই জনপ্লাবন দেখে জোকোভিচ হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর কাছে এটি একটি বিশাল বড় মুহূর্ত ছিল এবং এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে, বেলগ্রেডের বাসিন্দারাও তাদের শহরের মহানায়কের জন্য গর্বে বিহ্বল।


হাজার হাজার মানুষের তাঁর জন্য অফুরান ভালোবাসা দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি জোকোভিচ। সিটি হলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তিনি হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন। এই কান্না যন্ত্রণার নয়। বরং ভালো লাগার কান্না। ভালোবাসার কান্না। তার আগে অবশ্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জোকোভিচ। তবে তাঁর কান্না দেখে উপস্থিত সকলেই আরও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে সেই সময়ে সামলানোর চেষ্টা করেন সার্বিয়ার বাস্কেটবল দলের সদস্যরা।
 

একুশে সংবাদ/স ক 

Link copied!